পরিবহন পরিষেবাকে আরও দ্রুত, স্বচ্ছ এবং নাগরিক-বান্ধব করতে বড় উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। পরিবহন দফতর জানিয়েছে, মোট ৫০টি মোটরগাড়ি-সংক্রান্ত পরিষেবা এবার থেকে সম্পূর্ণ অনলাইন ও ফেসলেস পদ্ধতায় পাওয়া যাবে। আবেদন থেকে নথি যাচাই—সবই হবে আধার সংযুক্ত পরিচয় যাচাইয়ের মাধ্যমে।

এই উপলক্ষে রাজ্যের বাহন ও সারথি পোর্টাল আপগ্রেড করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টারকে (এনআইসি)। পরিবহন সচিব সৌমিত্র মোহন এনআইসি-কে তিন দিনের মধ্যে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন।

গত ১৪ অক্টোবর পরিবহন দফতর ও এনআইসি-র শীর্ষ আধিকারিকদের বৈঠকে এই নতুন পরিষেবা চালুর রূপরেখা আলোচনা হয়। সিদ্ধান্ত হয়েছে, নাগরিকদের লার্নার লাইসেন্স, ড্রাইভিং লাইসেন্স নবীকরণ, প্রতিলিপি ইস্যু, নাম বা ঠিকানা পরিবর্তন, ছবি বা বায়োমেট্রিক সংশোধন—সবই করা যাবে বাড়িতে বসেই। এছাড়াও কনডাক্টর লাইসেন্স, গাড়ি রেজিস্ট্রেশন, মালিকানা হস্তান্তর, পারমিট সংক্রান্ত পরিষেবা এবং আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং পারমিট ইস্যুও আসছে এই তালিকায়।

তবে পরিষেবার ধরন অনুযায়ী শর্তও থাকছে। যেমন, ড্রাইভিং লাইসেন্স নবীকরণ বা ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য নির্দিষ্ট অতিরিক্ত নথি অনলাইনে আপলোড করতেই হবে। নামের শুধুমাত্র ক্ষুদ্র বানান সংশোধনের ক্ষেত্রেই আধারের তথ্য ব্যবহার করে পরিবর্তন সম্ভব হবে। আধার ও লাইসেন্সের তথ্যের মধ্যে অসঙ্গতি প্রমাণিত হলে আবেদন বাতিল হবে। রেজিস্ট্রেশনের এনওসি, গাড়ির মালিকানা হস্তান্তর ও নির্দিষ্ট পারমিট সংক্রান্ত আবেদনের ক্ষেত্রেও সম্পূর্ণ অনলাইন প্রক্রিয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

পরিবহন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “এই উদ্যোগে পরিষেবা আরও দ্রুত হবে। নাগরিকদের অফিসে বারবার যেতে হবে না। সময় এবং খরচ—দু’টিই কমবে।” রাজ্য সরকারের প্রত্যাশা, এই ফেসলেস পরিষেবা চালু হলে পরিবহন দফতরের কাজে স্বচ্ছতা ও দক্ষতা দুই-ই বৃদ্ধি পাবে।

আরও পড়ুন – SIR-এর প্রতিক্রিয়া! শিখদের স্বাগত, পাক সীমান্তে আটকে দেওয়া হল হিন্দুদের

_

_

_

_
_


