Friday, November 14, 2025

বাংলা কথায় দক্ষতা, কোন পদে পান তৃপ্তি? দীপ্তিকে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি খুললেন ‘অভিভাবক’ মিঠু

Date:

সন্দীপ সুর

বাংলার প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে আইসিসি একদিনের বিশ্বকাপ জিতেছেন রিচা ঘোষ কিন্তু ভারতীয় দলের আরও এক ক্রিকেটারের সঙ্গে রয়েছে গভীর বং কানেকশন। তিনি দীপ্তি শর্মা(Dipti Sharma)। বেশ কয়েক বছর বাংলা দলের হয়ে ক্রিকেট খেলেছেন, কলকাতায় ছিল তাঁর ঘর। ফলে বাংলার খাওয়া-দাওয়া থেকে সংস্কৃতি সবকিছুই আপন করে নিয়েছিলেন।

দীপ্তিকে বাংলায় আনার মূল কারিগর ছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার ও জাতীয় নির্বাচক মিঠু মুখোপাধ্যায়। দীপ্তিকে নিয়ে অনেক অজানা কথা ভাগ করে নিলেন বিশ্ব বাংলা সংবাদের সঙ্গে। মূলত মিঠু মুখোপাধ্যায়ের প্রচেষ্টাতেই বাংলার হয়ে খেলতে আসেন দীপ্তি কিন্তু ভারতীয় দলের তারকা ক্রিকেটারের জন্য বিশেষ আতিথেয়তার ব্যবস্থা করতে হয়নি সিএবিকে সব ব্যবস্থাই করেছিলেন মিঠু নিজেই। আসলে কলকাতায় দীপ্তির অভিভাবক ছিলেন মিঠুই।

কুমারটুলিতে  নিজের ফ্ল্যাটেই দীপ্তিকে রেখেছিলেন মিঠু। কয়েক বছরে দীপ্তি হয়ে উঠেছিলেন ঘরের মেয়ে। খুব কাছ থেকে দেখেছেন দীপ্তিকে। মাঠে শুধু কঠোর পরিশ্রমই নয়, দীপ্তি শর্মার আগুনে পারফরম্যান্সেপ নেপথ্যে রয়েছে কঠোর শৃঙ্খলা অনুশাসন এবং অবশ্যই অনুশীলন। সেই সঙ্গে দীপ্তি অত্যন্ত ভক্তিবাদী একজন মানুষ। নিয়ম করে হনুমান চল্লিশা পড়েন।

কলকাতায় বেশ কয়েক বছর থাকার ফলে দীপ্তি ভালোভাবেই রপ্ত করেন বাংলা ভাষাকে। এমনকি মাঠে রিচার সঙ্গে বাংলাতেই কথা বলেন ভারতীয় দলের তারকা অলরাউন্ডার। কুমারটুলি ফ্ল্যাটে বসে অতীতের স্মৃতিতে বারবার ফিরে যাচ্ছিলেন মিঠু।

তাঁর কথায়, “আমি যেহেতু অফ স্পিনার ছিলাম তাই অফ স্পিনারদের প্রতি আমার একটা দুর্বলতা ছিল। প্রথমদিন থেকে দীপ্তিকে দেখে ভালো লেগেছিল। আমি সিএবি কর্তাদের বলেছিলাম তাঁকে দলে নেওয়ার জন্য, কিন্তু ভারতীয় দলের ক্রিকেটারের জন্য বিরাট ব্যবস্থা করতে হতো আমি সিএবিকে বলেছিলাম কোনো ব্যবস্থাই করতে হবে না। দীপ্তি আমার কাছেই থাকবে সেই মতোই দীপ্তিকে ফ্ল্যাটে রেখেছিলাম। আমাদের প্রায় ঘরের মেয়ে হয়ে উঠেছিল দীপ্তি। তারকা ক্রিকেটার বলে আলাদা কোন অহংকার ছিল না।প্রত্যেকদিন হনুমান চালিশা পড়ে ঘুমাতে যায়। এটাই হয়তো ওকে জোর জুগিয়েছে। ”

একইসঙ্গে মিঠু বলেন, “খুব দ্রুত বাংলার সংস্কার শিখে নিয়েছিল।আমরা কোথায়ও যাওয়ার আগে আসছি বলি , সেটা দীপ্তি করত। ও নিরামিষভোজী দীপ্তি, তাই আমিষ খাবার মুখে তোলে না। তবে বাংলা এসে বেগুন ভাজার স্বাদে মজে ছিল, ওটা ও খুব ভালোবাসত। প্রতিদিন সকালে নিয়ম করে চারটে করে আলমন্ড খেত। নিজেকে ফিট রাখতে ডায়েটও মেনটেন করত।”

বাংলার পাচনের প্রতি দীপ্তির আছে অগাধ আস্থা। যেটা তাঁকে বানিয়ে দিত মিঠুর বোন সৌমা।  কোনও সমস্যা হলেই একটি বিশেষ পাচন বানিয়ে দিতেন সৌমা। তিনি বলেন, “কোন সমস্যা হলে সেই পাচন দীপ্তির লাগবেই দেশ বিদেশের যে প্রান্তেই থাকুন না কেন সমস্যায় পড়লে সেই পাচন চাই। দীপ্তিকে সেটা বানানোর পদ্ধতি লিখে পাঠাতে হয়।”

বিশ্বকাপে দীপ্তির পারফরম্যান্স  প্রসঙ্গে মিঠু বলেন, “বিশ্বকাপের প্রতিটি  ম্যাচেই দীপ্তি নিজের অবদান রেখেছেন। শুধু ফাইনালে পাঁচ উইকেট নেওয়াই নয় অন্য সব ম্যাচেই তার অবদান রয়েছে। আসলে ছোট থেকেই ও নিজের বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন। দল জিতুক বা হারুক নিজের পারফরম্যান্সের মূল্যায়ন প্রতি ম্যাচই করে। তাই ও বর্তমানে বিসিসিআইয়ের এ গ্রেডে আছে সেটা শুধুমাত্র স্মৃতি এবং হরমনপ্রীতির সঙ্গে।”

Related articles

শিশু দিবসে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা মমতা – অভিষেকের, নেহরুর জন্মদিন উপলক্ষেও শ্রদ্ধা মুখ্যমন্ত্রীর 

শিশুরাই আগামীর ভবিষ্যৎ, ১৪ নভেম্বর শিশু দিবসে (Childrens Day) শুভেচ্ছা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা...

তেজস্বীর নয়া ইনিংস নাকি নীতীশের কামব্যাক, বিহারের রায় আজ

২৪৩ আসন বিশিষ্ট বিহার বিধানসভা (Bihar Assembly Election Result) কার দখলে থাকবে তা জানতে সকাল ৮টা থেকে শুরু...

সরকারি হাসপাতালে নাবালিকা রোগীর শ্লীলতাহানি! গ্রেফতার RG Kar আন্দোলনের ‘বিপ্লবী’ ডাক্তার

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসাতে সরকারি হাসপাতালে নাবালিকা রোগীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে। ঘটনায় গ্রেফতার বারাসাত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের...

আন্দুল রোডে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড! ভস্মীভূত দুই স্পঞ্জ কারখানা 

রাতের হাওড়ায় ভয়াবহ আগুনে কার্যত ছারখার হয়ে গেল আন্দুল রোডের পাশে হাঁসখালি পোল এলাকার দুটি স্পঞ্জ তৈরির কারখানা।...
Exit mobile version