বিজেপির রন্ধ্রে রন্ধ্রে বাংলা-বিদ্বেষ! তাই বাংলাকে কলুষিত করতে এখন বাংলার বিশ্ববন্দিত মনীষীদেরও ছাড়ছে না বিজেপি। কেন্দ্রের বাংলাবিরোধী দলের নেতা-মন্ত্রীরা এখন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কলুষিত করতে উঠেপড়ে লেগেছে। শনিবার রবি ঠাকুরের এই অপমানের প্রতিবাদে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে বিশ্বকবিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে একজোটে ক্ষোভে ফেটে পড়ল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের তরফে কবিগুরুকে স্মরণ করে গণতান্ত্রিক পথে বাংলাবিরোধী বিজেপিকে উৎখাত করার শপথ নিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা ও বিধায়ক বিবেক গুপ্তা-সহ তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। বিজেপির এই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নোংরা রাজনীতির বিরুদ্ধে তৃণমূলের সাফ বক্তব্য, বাংলার মনীষীদের যেভাবে অনবরত অপমান করে চলেছেন বিজেপির নেতারা, আমরা তাতে ব্যথিত। কবিগুরুর এই অপমান মানবে না তৃণমূল! মেনে নেবে না বাংলার মানুষও!
জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে এদিন বিশ্বকবির মূর্তিতে পুষ্পার্ঘ্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা ও বিধায়ক বিবেক গুপ্ত। ডাঃ শশী পাঁজা বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টির নেতারা যেভাবে বাংলার মনীষীদের অপমান করেছে, তাতে আমরা ব্যথিত-মর্মাহত! কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে বিজেপির নেতারা যে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন, তার তীব্র নিন্দা করছি। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রেরণা। তাঁর নামে অবমাননাকর মন্তব্য আমরা মেনে নেব না। বিজেপি বাংলার মেরুদণ্ড ভাঙার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তার প্রতিবাদে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে আমরা একজোট হয়েছি। ভারতবর্ষের জাতীয় সঙ্গীত লিখেছেন যে মানুষটা, যাঁর লেখা গান দুই দেশের রাষ্ট্র সঙ্গীত হয়েছে, ইংরেজদের থেকে পাওয়া নাইটহুড উপাধি যিনি জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, দেশের প্রথম নোবেলজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিজেপি অশিক্ষিত নেতারা! যাদের কোনও যোগ্যতা নেই, পড়াশোনা নেই; বিজেপির সেই নেতারা এখন রবি ঠাকুরকে অপমান করছে! বাংলাকে বদনাম করতে সারাদেশে একটা ন্যারেটিভ তৈরির চেষ্টা করছে। আর রবি ঠাকুরের এই অপমানের পরও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কর্নাটকের সাংসদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিল না। তাঁদের এই নীরবতা প্রমাণ করে, বিজেপির কাছে রবি ঠাকুরকে অপমানের অনুতাপ নেই। এটাই বিজেপির আসল চরিত্র।
আরও পড়ুন- দোষ ঢাকতে কোপ! কর্তব্যে গাফিলতি, আট BLO-কে শোকজ
_
_
_
_
_
_
_
_