তিনি যুব সমাজের আইকন। তৃণমূলের (TMC) সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) ঘিরে সব সময়ই তরুণ প্রজন্মের জনজোয়ার। আর তিনি যে আধুনিকমনস্ক এর আগেও তার প্রমাণ মিলিছে। এবার সুন্দরবনের সমকামী দম্পতিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সমাজের অচলায়তন ভাঙার বার্তা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক।
অন্যরকম ভালোবাসার গল্প জলে-জঙ্গলের সুন্দরবনে (Sunderbon)। সমাজের চোখ রাঙানির পরোয়া না করে রাখি নস্কর ও রিয়া সর্দার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তাঁদের পাশে অবশ্য থেকেই স্থানীয়রা। স্থানীয় নেতা তথা তৃণমূল সাংসদ বাপি হালদারকে এই যুগলকে সংবর্ধনা দেওয়া নির্দেশ দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সেই মতো মথুরাপুর লোকসভার সাংসদ বাপি সংবর্ধনা সভার আয়োজন করেন। সেখানে ফের মালাবদল করেন রাখি-রিয়া। সেখানেই বাপি হালদারকে ফোনে নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানান ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। এর পরে সোশাল মিডিয়ায় দীর্ঘ পোস্ট করেন তিনি। লেখেন, “সামাজিক বেড়াজাল ছিন্ন করে সুন্দরবনের দুই তরুণী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন, যা বাংলা তথা দেশের কাছে দৃষ্টান্তস্বরূপ উদাহরণ – স্বাধীন ভারতের স্বাধীন মানসিকতার, মানবিকতার, মুক্তচিন্তা ভাবনার ও সাহসিকতার। সারাজীবন একসাথে থাকার অঙ্গীকার নিয়ে তাঁরা যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন তা বাংলার কাছে ও বাঙালির কাছে গর্বের। সংকীর্ণতার গণ্ডি পেরিয়ে সামাজিক মতভেদ, ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং সাংস্কৃতিক বাধা এসব অতিক্রম করে লক্ষ্যে স্থির থেকেছেন – প্রকৃত ভালোবাসাকে প্রাধান্য দিয়েই। তাঁদের এই পবিত্র ভালোবাসা চিরঅক্ষয় থাকুক। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজারের বাসিন্দা রিয়া সর্দার ও বকুলতলার বাসিন্দা রাখি নস্কর এই নবদম্পতিকে আমি অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। পরমেশ্বরের আশীর্বাদ বর্ষিত হোক ওঁদের জীবনে। রঙিন হয়ে উঠুক আগামীর পথ।”
এর পরেই বাংলার মুক্তচিন্তার সংস্কৃতির কথা উল্লেখ করে অভিষেক (Abhishek Banerjee) লেখেন, “বাংলাই আগামীকে পথ দেখায়। এই সাহসিকতার জোরেই আমাদের সমাজ অচলায়তন ভেঙে ও সংকীর্ণতাকে পিছনে ফেলে মুক্ত চিন্তাভাবনার অঙ্গন হয়ে উঠবে।“
সমাজের অচলাতয়ন ভেঙে, ভয় আর সংকোচকে অগ্রাহ্য করে নিজের মতো করে বাঁচার সাহস দেখিয়েছেন এই দুই নারী। সুন্দরবনের এই গল্প নতুন প্রজন্মকে বুঝিয়ে দিল ভালবাসার কোনও সীমা নেই। স্বয়ং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনের আপ্লুত রিয়া-রাখি।
–
–
–
–
–
–
