শেষরক্ষা হল না। মৃত্যু হল SIR আতঙ্কে বিষপান করা ধনিয়াখালির আশা সোরেনের (Asha Soren)। এখনও হাসপাতালে (Hospital) চিকিৎসাধীন তাঁর ৬ বছরের শিশুকন্যা। এসআইআর ফর্ম বাপের বাড়িতে পাননি আশা সোরেন। বিবাদের জেরে শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে সম্পর্ক নেই। কী হবে এই আতঙ্কে শনিবার মেয়েকে নিয়ে বিষ পান করেন ধনিয়াখালির আশা। SSKM হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে ও তাঁর কন্যাকে। সোমবার, দুপুরে তাঁর মৃত্যু হয়। স্থিতিশীল শিশুকন্যা।
ধনিয়াখালি থানার অন্তর্গত সোমসপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কানানদী এলাকাতে এসআইআর আবহে ৬ বছরের শিশুকে নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বধূ। পরিবার সূত্রে খবর, SIR নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন ২৭ বছরের আশা সোরেন। শনিবার সকালে এই ঘটনার পর ধনিয়াখালি গ্রামীণ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা হয় আশা ও তাঁর মেয়ের। পরে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁদের।
পারিবারিক বিবাদের জেরে গত চার বছর বাপের বাড়িতেই থাকতেন আশা (Asha Soren)। বাপের বাড়ির সকলেই এসআইআর ফর্ম পেলেও তিনি পাননি। অভিযোগ, আতঙ্কে আর অবসাদে ৬ বছরের শিশুকে নিয়ে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি।
আশার দাদা অমর মূর্মু জানিয়েছেন বোনের বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়িতেই ভোট ছিল। এখানে কিছু না থাকায় তার এসআইআর ফর্ম আসেনি। তিনি অনলাইনে বের করতে বলেছিলেন। কিন্তু তারপরেই খুব দুশ্চিন্তায় ছিলেন আশা। শোকগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে সোমসপুর এলাকায় বাড়ি যান ধনিয়াখালির বিধায়ক অসীমা পাত্র। জানান, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি জানার পরই দুজনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন এবং সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
–
–
–
–
–
–
