লালকেল্লার সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের (Delhi blast near Red fort) জেরে মৃতদের সনাক্তকরণে বাড়ছে সমস্যা (Deadbody Identification)। দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়ায় ট্যাটু- টি-শার্ট দেখেই প্রিয়জনদের খুঁজে নিতে হচ্ছে মৃতদের পরিবারের সদস্যদের। হাসপাতাল ও মর্গে একের পর এক নিথর দেহের সারি, কাউকে আলাদা করে চেনার উপায় নেই। লালকেল্লার কাছে সুভাষ মার্গের ট্র্যাফিক সিগন্যালের পাশে একটি হুন্ডাই আই২০ (Hyundai i20 blast in Delhi) গাড়িতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছিল কয়েকশো মিটার দূর পর্যন্ত। প্রকাশ্যে এসেছে এই ঘটনার মুহূর্তের সিসিটিভি ফুটেজ। একের পর এক গ্রেফতারিতে জানা গেছে দেশব্যাপী হামলার ছক ছিল জানুয়ারি মাসে। ডাক্তার- মৌলবী -জইশ জঙ্গি যোগে প্রশ্নের মুখে নাগরিক নিরাপত্তা।
১০ নভেম্বরের সন্ধ্যায় জনবহুল রাজধানীতে হঠাৎ বিস্ফোরণ। চোখের নিমেষে ছিন্নভিন্ন একাধিক দেহ। আহতদের কান্নার চিৎকারে বেসামাল অবস্থা।এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী অন্তত ১৩ জন মৃত্যু হয়েছে, বহু মানুষ আহত। বিস্ফোরণের জেরে মৃতদের মুখ তো চেনা যাচ্ছেই না, অগত্যা ছেঁড়া পোড়া জামাকাপড়, কিংবা শরীরে আঁকা ট্যাটু দিয়েই চোখের জলে প্রিয়জনের শেষ অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন পরিবারের লোকেরা। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু দেহ হস্তান্তরিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
রাজধানীতে বিস্ফোরণের ঘটনায় বারবার উঠে এসেছে ফরিদাবাদ মডিউলের নাম। তদন্তকারী সংস্থার একাংশ মনে করছে, দিল্লি ও ফরিদাবাদের দুই ঘটনার মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। গ্রেফতার হওয়া চিকিৎসক শাহিন শাহিদকে জেরা করে জানা গেছে উমর, শাহিন, আদিল মজিদ ও মুজাম্মিল আহমেদের যোগসূত্র ফরিদাবাদের আল-ফালাহ মেডিক্যাল কলেজ।লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণ হওয়া গাড়িটির সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বিস্ফোরণের কিছুক্ষণ আগে পর্যন্ত উমর ঘাতক গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। উমরের পরিবারের সদস্যদের ডিএনএ ম্যাচিং করার চিন্তাভাবনাও চলছে। তদন্ত যত এগোচ্ছে এই হামলার নেপথ্যে জইশ-ই-মহম্মদের হাত থাকার সম্ভাবনাই জোরালো হচ্ছে।ধৃত চিকিৎসক শাহিন জইশের মহিলা শাখার ভারতীয় মুখ ছিলেন বলেই দাবি গোয়েন্দাদের। তদন্তকারীদের অনুমান শুধু দিল্লি নয় সারা ভারত জুড়েই বিভিন্ন জায়গায় বড়সড়ো হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেই কারণে দু’বছর ধরে বিস্ফোরক মজুদ করার কাজ এগোয়। এই ঘটনায় বারবার করে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং গোয়েন্দা বিভাগের অপদার্থতার ছবিটাই ধরা পড়ছে। এখনও পর্যন্ত কোনও সংগঠন এই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি। দিল্লি থেকে কলকাতা সর্বত্র জোরদার করা হচ্ছে নিরাপত্তা।
–
–
–
–
–
–
–
