অনেক আশা নিয়ে হরিয়ানার আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিবিএস পড়তে এসে হতাশ পড়ুয়ারা। একদিকে পড়াশোনার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তার উপর শিক্ষকের তালিবানি শাসনের (Talibani rule) ঘটনা এবার প্রকাশ্যে চলে এল দিল্লি বিস্ফোরণের (Delhi blast) সূত্র ধরে।
আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে (Al Falah University) যে একাধিক জঙ্গি ডেরা বেঁধেছিল, দিল্লি বিস্ফোরণের পরে তা প্রকাশ্যে চলে এসেছে। প্রশ্নের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতিও। শো-কজ করা হয়েছিল কর্তৃপক্ষকে। তবে তার সূত্র ধরে এবার প্রকাশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার মান। পড়ুয়াদের দাবি, পড়ানোর মান ভালো নয়। সঠিক সময়ে প্র্যাকটিকালও হত না।
তবে তার পাশাপাশি প্রকাশ্যে এসেছে, শিক্ষক হিসাবে নবির ভূমিকা। পড়ুয়াদের একাংশের দাবি, উমর নবি তালিবানি শাসন কায়েম করার পথে হেঁটেছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। অন্যান্য সব এমবিবিএস (MBBS) বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এখানেও পড়ুয়ারা ছেলে-মেয়ে একসঙ্গে বসে পড়াশোনা করত। তবে নবি সেখানে পড়ানো শুরু করার পরে ছেলে ও মেয়েদের আলাদা বসার ফতোয়া জারি করে।
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্রের আঁতুরঘর আল-ফালাহ ইউনিভার্সিটি? রুম নম্বর ১৩!
তবে এখানেই শেষ নয়। পড়ানোর মাঝে তালিবানি শাসনের (Talibani rule) পক্ষে সওয়াল করত উমর নবি (Umar Nabi)। তালিবানি শাসক কতটা ভালো, তা বোঝানোর চেষ্টা করত পড়ুয়াদের। ক্লাসের বাইরেও সে তালিবানি শাসনের প্রচার চালাতো। অন্যান্য সময়ে স্বাভাবিক পড়াশোনা করলেও উমরের সামনে পড়ুয়াদের তালিবানি ফতোয়াই মেনে চলতে হত।
–
–
–
–
–
