জিনা বন্দ্যোপাধ্যায়
জনে জনে বার্তা রুটি গেল ক্রমে,
বিয়ে করছেন মৌবনী শীতের মরশুমে!
মেয়ের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন পিসি সরকার,
সেখান থেকেই পাত্র চয়ন করল ম্যাজিশিয়ান পরিবার..
অবশেষে খানিকটা নিশ্চিন্ত হতে চলেছেন জুনিয়র পি সি সরকার (Junior P C Sorcar)। তিন মেয়ের বিয়ে নিয়ে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়া ম্যাজিশিয়ান আপাতত ব্যস্ত কন্যা মৌবনীর (Moubani Sorcar) সাতপাকে ঘোরার আয়োজন করতে। নভেম্বরের শেষ লগ্নেই জাদু সম্রাটের বাড়িতে বিয়ের আসর বসতে চলেছে। পাত্র রিসার্চ অ্যানালিস্ট সৌম্য রায় (Soumya Roy)। কিন্তু এত দ্রুত সবটা সম্ভব হল কী করে? লাজুক হেসে হবু কনের জবাব, ‘বাবা যে বিজ্ঞাপনটা দিয়েছিলেন সেখান থেকেই এই যোগাযোগ হয়েছে। আমি আশা করিনি যে বিয়েটা হবে। ভেবেছিলাম এমন কেউ-ই নেই যাঁর সঙ্গে বাকি জীবনটা কাটাতে পারব। কিন্তু যখন দেখা হলো, মিউচুয়ালি সবার পছন্দ হলো। প্রথম দেখাতেই সবাই বুঝতে পেরেছিলাম যে একটা মিল আছে।’
বিয়ের দিন স্থির হয়েছে ৩০ নভেম্বর। হাতে আর বেশি সময় নেই, দিদির বিয়ের শপিংয়ে ব্যস্ত মুমতাজ সরকার। জামাইবাবুর থেকে কী কী আদায় করতে হবে সেই লিস্টও করে দেখেছেন। কর্মসূত্রে বিদেশে থাকলেও পাত্রের আপাতত বাসস্থান কলকাতা। শোনা যাচ্ছে মা-বাবার পছন্দমত যেমন পাত্র পছন্দ করেছেন মৌবনী সেভাবেই পরিবারের ইচ্ছে অনুযায়ী সাবেকি মতে বিয়েটাও সারবেন। শপিং থেকে সাজগোজের পরিকল্পনার নেপথ্যে মানেকা ও মুমতাজ।মৌবনীর কথায়, ‘ওরা আমার বিয়েতে এত খাটছে, এত কিছু করছে, আমি জানি না ওদের জন্য এতটা করতে পারব কি না। মা খুব খুশি। বাবা মাঝেমধ্যেই গান গেয়ে উঠছেন, এত খুশি।’ এ তো না হয় গেল পরিবারের কথা, কিন্তু হবু বরের কোন বৈশিষ্ট্য সবথেকে বেশি আকর্ষণ করল জাদুকর কন্যাকে? পাত্রী জানালেন, ‘ও খুব অ্যাকসেপ্টিং। যেটা আমার খুব ভালো লেগেছিল। খুব ইন্টেলিজেন্ট, যেমন আমি চেয়েছিলাম। লিটারেচর ভালোবাসে। এটা আমারও খুব প্রিয় একটা জায়গা। আমার কাজ, আর লেখা, আমার আর্ট ওর পছন্দের। বিদেশে থাকলেও নিজের দেশের প্রতি ভালোবাসা আছে। খুব কালচারড মানুষ। বাঙালি সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল।ওর বাবা-মা-দিদি আছেন। ওঁরাও খুব ভালো। এগুলোই পছন্দ হয়েছে।’
মৌবনীর বিয়ের বেনারসি আসছে বেনারস থেকে। জামাইবাবুর জুতো চুরি করে সিনেমার স্টাইলে টাকা আদায়ের ফুলপ্রুফ প্ল্যান করে ফেলেছেন মুমতাজ। তবে পিসি সরকারের ছোট কন্যার আক্ষেপ, তিন বোনকে নিয়ে একটা স্বয়ম্বর সভা আর হল না। যাই হোক, বাড়িতে বিয়ে বলে কথা। সরকার পরিবারের নিঃশ্বাস ফেলার মতো সময়টুকুও নেই। গ্ল্যামার আর ঐতিহ্যের মেলবন্ধনে সেলিব্রেটি বিয়ের আসর কতটা জমে ওঠে এখন সেটাই দেখার।
–
–
–
–
–
–
–
–
