ইতিহাসের পাতায় মাতৃভূমির বীর পুত্র এবং কন্যাদের জন্ম প্রতিনিয়ত ভারতের চেতনার প্রকাশ ঘটিয়েছে। ভগবান বিরসা মুন্ডা নক্ষত্রমণ্ডলের অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন, যিনি দেশের পথকে আলোকিত করেছেন। আজ তাঁর সার্ধশতবর্ষপূর্তিতে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে শ্রদ্ধা জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে এদিন তিনি লেখেন, ”জয় জোহার, মুন্ডা বিদ্রোহের বীর নেতা, ধরতি আবা ভগবান বিরসা মুন্ডার সার্ধশতবর্ষপূর্তিতে জানাই সশ্রদ্ধ প্রণাম। রাজ্যজুড়ে এই বিশেষ দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালন করা হচ্ছে। তাঁর জন্মদিনে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আদিবাসী সমাজের এই প্রাণপুরুষের নাম যুক্ত আছে জঙ্গলমহলে আমাদের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাঁকে সম্মান জানাতে উত্তরবঙ্গে তাঁর নামাঙ্কিত একটি কলেজও আমরা করেছি।”
জয় জোহার
মুন্ডা বিদ্রোহের বীর নেতা, ধরতি আবা ভগবান বিরসা মুন্ডার সার্ধশতবর্ষপূর্তিতে জানাই সশ্রদ্ধ প্রণাম।
রাজ্যজুড়ে এই বিশেষ দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালন করা হচ্ছে।
তাঁর জন্মদিনে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
আদিবাসী সমাজের এই প্রাণপুরুষের নাম যুক্ত আছে জঙ্গলমহলে…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) November 15, 2025
প্রসঙ্গত, মাত্র ২৫ বছরের সংক্ষিপ্ত জীবনে, ঝাড়খণ্ডের উলিহাতুর ছেলেটি ঔপনিবেশিক শোষণের বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিরোধের নায়ক হয়ে ওঠেন । ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় ভূস্বামীদের উপজাতীয় সম্প্রদায়কে শোষণ করার সময় থেকেই ভগবান বিরসা এই সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান এবং মানুষকে তাদের অধিকারের জন্য সংগ্রামে নেতৃত্ব দেন। মুন্ডা উপজাতির অন্তর্গত বীরসা মুন্ডা ১৮৭৫ সালের ১৫ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। ১৯ শতকের শেষের দিকে ব্রিটিশ শাসনকালে, তিনি আধুনিক বিহার ও ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী অঞ্চলে একটি ভারতীয় উপজাতীয় ধর্মীয় সহস্রাব্দী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তাঁর জন্মবার্ষিকী দেশজুড়ে বিরসা মুন্ডা জয়ন্তী হিসাবে পালিত হয় এবং এটি ঝাড়খণ্ড প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে গণ্য করা হয়। পশ্চিমবঙ্গে আজ এই উপলক্ষে সরকারি ছুটি রয়েছে।
–
–
–
–
–
–
–
–
