বাংলায় বারবার ইনিউমারেশন ফর্ম বিলি থেকে ডিজিটাইজেশনের কাজ নিয়ে চাপের অভিযোগ করেছেন বুথ লেভেল অফিসাররা। আত্মহত্যার উদাহরণও রয়েছে বাংলায়। এবার কাজের চাপে সেই আত্মহত্যার উদাহরণ খোদ নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) রাজ্য গুজরাটে (Gujarat)। কাজের চাপে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা এক বিএলও-র (BLO)। পকেটে পাওয়া সুইসাইড নোট জানাচ্ছে এসআইআর প্রক্রিয়ায় কাজের চাপ নিতে না পেরেই তিনি প্রাণ দিয়েছেন।
গুজরাটের গির সোমনাথ (Gir Somnath) জেলার বিএলও অরবিন্দভাই ভাদেরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় শুক্রবার। তিনি স্থানীয় বিএলও হিসেবে কাজ করছিলেন এসআইআর চালু হওয়ার সময় থেকে। তবে অন্যান্য সব রাজ্যের সব বিএলও-দের মতো তিনিও প্রবল কাজের চাপে ছিলেন। আর তারই প্রমাণ মিটেছে তার পকেট থেকে পাওয়া সুইসাইড নোটে (suicide note), যেখানে তিনি স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে আত্মহত্যার মতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
অরবিন্দভাই নিজের সুইসাইড নোটে লিখেছেন, এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়ায় আমার পক্ষে আর কাজ করা একেবারেই সম্ভব না। আমি হাঁপিয়ে উঠেছি এবং মানসিকভাবে প্রবল চাপে গত কয়েকদিন ধরে। আমাদের সন্তানের খেয়াল রেখো। আমি দুঃখিত, আমি খুব দুঃখিত। আমার কাছে এই পথ অবলম্বন করা ছাড়া আর কোনও উপায় খোলা নেই। এমনটাই জানা গিয়েছে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে।
অরবিন্দভাইয়ের মতো একইভাবে নির্বাচন কমিশনের এসআইআর প্রক্রিয়াকে কাঠগড়ায় তুলেছেন মৃত বিএলও-র স্ত্রী। তিনিও জানান একমাত্র এই এসআইয়ের প্রক্রিয়ার কাজের চাপ ছাড়া আর কোনও কারণ নেই যে তিনি এই আত্মহত্যার পথ বেছে নেবেন।
আরও পড়ুন : নির্বাচন কমিশনের প্রবল চাপ: রাজ্যের ফের আত্মঘাতী মহিলা বিএলও
গুজরাটে এই নিয়ে দুই বিএলও প্রাণ হারালেন। মাত্র দুদিন আগে খেড়া জেলায় একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকের ঘুমের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল। সেখানেও পরিবারের অভিযোগ ছিল এসআইআর প্রক্রিয়ায় কাজের চাপের। গুজরাটের শিক্ষক ও সরকারি কর্মী সংগঠনগুলি শিক্ষকদের এসআইআর প্রক্রিয়া থেকে শিক্ষকদের বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনের কাছে।
–
–
–
–
