প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিজেদের দাবি আদায় অপহরণের পথ বেছে নিয়েছে নাইজেরিয়ার জেহাদি গোষ্ঠীগুলি। উত্তর নাইজেরিয়ায় (Nigeria) বারবার অপহরণের (abduction) ঘটনা ঘটেছে। তবে সম্প্রতি এক সপ্তাহে সেই অপহরণের শিকার এবার স্কুল পড়ুয়ারা। এবার একটি মিশনারি স্কুল (missionary school) থেকে ২১৫ স্কুল পড়ুয়া ও ১২ জন শিক্ষককে অপহরণ করল জেহাদিরা। এই ঘটনার জেরে দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ সামিট (G-20 Summit) সফর বাতিল করলেন নাইজেরিয়ার রাষ্ট্রপতি বোলা তিনুবু।
শুক্রবার উত্তর নাইজেরিয়ার পাপিরি দিয়ে এলাকার একটি মিশনারি স্কুল সেন্ট মেরিস স্কুলে হামলা চালায় সশস্ত্র জেহাদিরা। স্কুল পড়ুয়াদের অপহরণ করার সময় কিছু পড়ুয়া পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এই ঘটনার কয়েকদিন আগেই, সোমবার ২০ জন স্কুল পড়ুয়াকেও অপহরণের ঘটনা ঘটেছিল। কেব্বি এলাকার একটি ছাত্রাবাস (hostel) থেকে তাদের অপহরণ করা হয়।
নাইজেরিয়ার এই অপহরণের ঘটনায় ধর্মীয় রং লাগানোর চেষ্টা চালানো হলেও আদতে তা নয় বলেই দাবি প্রশাসনের। সাম্প্রতিক সময়ে যে অপহরণের ঘটনাগুলি ঘটেছে সেখানে খ্রিস্টান (Christian) সম্প্রদায়ের মানুষের অপহরণ যেমন হয়েছে, তেমনই মুসলিম (Islam) সম্প্রদায়ের মানুষদেরও অপহরণ করা হয়েছে। যে ২০ স্কুলের ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়েছিল তারা মুসলিম সম্প্রদায়ের ছিল। তবে শুক্রবার যাদের অপহরণ করা হয় তারা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের।
আরও পড়ুন : ট্রাম্প কী ফ্যাসিস্ট? ট্রাম্পের সামনেই উত্তর দিয়ে ফেললেন মামদানি!
প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায়, এই অপহরণকারীরা মূলত ডাকাত। জল, জমি ইত্যাদি পরিষেবার দাবিতে তারা অপহরণ করে বিপুল পরিমাণ ক্ষতিপূরণের (ransom) দাবি করে থাকে। শুক্রবারের অপহরণের ঘটনার পর রাষ্ট্রপতি বোলা তিনুবু (Bola Tinubu) পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনার জন্য বৈঠক করেন। দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন। জঙ্গল এলাকায় জোর তল্লাশি শুরু হয়েছে অপহৃতদের খোঁজে।
–
–
–
–
–
