Monday, November 24, 2025

নির্বাচনের আগে যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি: নেতৃত্বকে ১০০ শতাংশ ফর্ম জমার টার্গেট দিলেন অভিষেক

Date:

Share post:

রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই তা নিয়ে সতর্ক করেছিলেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো জেলায় জেলায় ওয়ার রুম তৈরি থেকে বিএলএ নির্বাচন করে রাজ্যের মানুষের ইনিউমারেশন ফর্ম (enumeration form) ফিলাপে সহায়তা করছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। তা সত্ত্বেও প্রতিদিন নানা প্রান্ত থেকে কমিশনের ভোটচুরির প্রক্রিয়া অব্যাহত। তার জন্য যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ করাই একমাত্র উপায়, দাবি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)। এবার ৯ দিন সময় বেঁধে দিয়ে দলের সাংসদ (MP) থেকে বিধায়কদের (MLA) ওয়াররুমের (war room) দায়িত্ব ভাগ করে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সক্রিয়ভাবে এই এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়া চলাকালীনই শুরু হয়ে যাচ্ছে তৃণমূলের নির্বাচন প্রস্তুতি, যার রিপোর্ট সাংসদ-বিধায়করা দলনেত্রীকে দেবেন, বৈঠকে এমনই নির্দেশ দেন অভিষেক।

রাজ্যের এসআইআর চলাকালীন যাতে কোনওভাবেই বাংলায় দিল্লি বা মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি তৈরি না হতে পারে, তার জন্য শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের আবারও সতর্ক করলেন অভিষেক। সেই লক্ষ্যে আগামী ছয়মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে সোমবারের ভার্চুয়াল বৈঠকে জানান তিনি। কার্যত রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়াকে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি মনে করে দলীয় নেতৃত্বকে সতর্ক করলেন তিনি। বাংলার এসআইআর প্রক্রিয়াকে বাংলা-বিরোধী দাবি করে অভিষেকের নির্দেশ, বিজেপি ও নির্বাচন কমিশনের ভোট চুরি রুখতে তৃণমূলের ভোট রক্ষা শিবির (Vote Raksha Shibir) ও ওয়ার রুমগুলি (war room) চালু রাখতে হবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। নির্বাচন পর্যন্ত প্রতিটি দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এভাবেই নির্বাচন কমিশনকে কাজে লাগিয়ে দিল্লি, মহারাষ্ট্রে ভোট চুরি করেছে বিজেপি। সেখানে বিরোধীরা দুর্বল ছিল।

ভোট চুরি রুখতে ১০০ শতাংশ ইনিউমারেশন ফর্ম জমা করাকেই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি অভিষেকের। সেই লক্ষ্যে তিনি দলীয় সাংসদ থেকে মন্ত্রী, বিধায়কদের নির্দেশ দেন, আগামী ১০ দিন দলীয় নেতৃত্ব নিজেরা বিএলএ-টুদের (BLO-2) সঙ্গে যোগাযোগ করবে। দরকার হলে তাঁদের বাড়ি গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। অথবা ফোনে প্রতিদিন কথা বলতে হবে। ধরে নিন যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে যাঁরা যোদ্ধার ভূমিকায় থাকবেন না তাঁদের দলের কাজে প্রয়োজন হবে না।

আরও পড়ুন : চুক্তিভিত্তিক কর্মীতে আপত্তি কীসের, কেন বেসরকারি আবাসনে ভোট গ্রহণ? প্রশ্ন তুলে জ্ঞানেশ কুমারকে ফের কড়া চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর

প্রায় ২৪ হাজার নেতৃত্বকে নিয়ে সোমবার ভার্চুয়াল বৈঠক করেন অভিষেক। যেখানে সক্রিয়তাকে সবথেকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। তার জন্য একেবারে প্রতিদিনের কর্মসূচি বেঁধে দেন অভিষেক। অভিষেকের নির্দেশ, প্রত্যেক সাংসদ (MP) প্রতিদিন ৫০ জন বিএলএ-র (BLA) সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। প্রত্যেক বিধায়ক (MLA) প্রতিদিন ১৫ জন বিএলএ-র সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। সেখানে তাঁরা কাজ সম্পর্কে রিপোর্ট নেবেন। সমস্যা সংক্রান্ত কথা শুনবেন ও সমাধান করবেন। আগামী সাতদিন এভাবেই বিএলএ-দের মনোবল বাড়ানোর কাজ করবেন নেতৃত্বরা। প্রতি ১৫ দিন অন্তর তাঁর সেই রিপোর্ট দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) দেবেন।

spot_img

Related articles

মুখাগ্নি করার সুযোগ অবশেষে পেলেন সানি?

সোমবার, বেলা গড়াতেই নক্ষত্র পতন। দেওল পরিবারের সকলের পরণে সাদা পোশাক, একটা অ্যাম্বুল্যান্স আর সঙ্গে কিছু গাড়ি। এদিকে...

বিধানসভা ভোটের আগে বাংলায় নয়া রাজনৈতিক জোট! নির্বাচনী ইস্তেহারও প্রকাশ

বাংলার দরজায় প্রায় কড়া নাড়ছে বিধানসভা নির্বাচন। ঘুঁটি সাজাচ্ছে রাজনৈতি দলগুলি। এর মধ্যেই সোমবার বিকেলে কলকাতা প্রেস ক্লাবে...

রাজ্যের এমএসএমই শক্তিশালী করতে র‌্যাম্প প্রকল্পে শুরু হচ্ছে বড়সড় সমীক্ষা 

রাজ্যের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পকে আরও শক্তিশালী করতে বিশ্বব্যাংক–সমর্থিত র‌্যাম্প (RAMP) প্রকল্পের আওতায় বিস্তৃত সমীক্ষা চালাতে চলেছে...

ভোটার তালিকা সংশোধনে সার্ভার জট কাটাতে বিশেষ অ্যাপ চালু করল রাজ্য নির্বাচন দফতর 

ভোটার তালিকা সংশোধন পর্বে সার্ভার সমস্যায় জর্জরিত বিএলওদের কাজ দ্রুততর করতে বিশেষ অ্যাপ চালু করল রাজ্য নির্বাচন দফতর।...