‘দম তোড় দিয়া, সাথ ছোড় দিয়া’ – চলে গেলেন ধর্মেন্দ্র (Dharmendra)। এবার আর কোনও ভুয়ো মৃত্যু সংবাদ নয়, সত্যি সত্যি বলিউডের সঙ্গে সব সম্পর্ক শেষ বিনোজগতের হি-ম্যানের! সোমবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা ধর্মেন্দ্র (Dharmendra)। মুম্বাইয়ের ভিলে পার্লে শ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করল পরিবার। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে অভিনেতার নানা স্মৃতি আর সতীর্থ থেকে অনুরাগীদের শোকবার্তায় ভারাক্রান্ত নেটপাড়া।

সোমবার বেলার দিকে বলিউডে ইন্দ্রপতন।হঠাৎ করেই খবরের শিরোনামে চলে আসেন ধর্মেন্দ্র। তাঁর বাড়ির সামনে ভিড় বাড়তে থাকে। শ্মশানে পৌঁছে যান অমিতাভ বচ্চন, অভিষেক বচ্চন, আমির খানরা। মিডিয়ার কৌতূহল বাড়িয়ে চূড়ান্ত সাসপেন্সের মধ্যেই অভিনেতার মরদেহ নিয়ে শ্মশানে পৌঁছে যান হেমা মালিনী (Hema Malini), সানি দেওল, ববি দেওলরা। বড় ছেলেই মুখাগ্নি করেছেন বলে জানা গেছে। চলতি বছর ‘শোলে’র পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হয়েছে। আর সেই বছরেই প্রয়াত বীরু। পরিবারের সিদ্ধান্তের জেরে প্রিয় অভিনেতাকে শেষ বার দেখা বা শ্রদ্ধা জানাবার সুযোগটুকু পাননি। ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর কথা জানিয়ে প্রথম পোস্ট করেন পরিচালক করণ জোহার (Karan Johar)। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কেন এভাবে চূড়ান্ত নাটকীয়তা বজায় রেখে সুপারস্টারের শেষকৃত্য করা হল? সবটাই কি সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিকবার অভিনেতার মৃত্যু সংবাদের গুজব ছড়িয়ে পড়ার অভিজ্ঞতা থেকে জন্ম হওয়া বিতৃষ্ণার জন্য, নাকি এর পেছনে অন্য কোনও কারণ লুকিয়ে আছে তা জানা যায়নি।
ধর্মেন্দ্র প্রয়াণ ভারতীয় সিনেমা জগতের এক অপূর্বীয় ক্ষতি, বলছেন অনুরাগীরা। অ্যাকশন থেকে রোমান্স সবেতেই সাবলীল অভিনেতা একটা সময় দাপিয়ে শাসন করেছেন ইন্ডাস্ট্রিকে। কখনও তাঁর আসন টলোমলো হয়নি।পুরো নাম ধর্মেন্দ্র কেওয়াল কৃষণ দেওল। অভিনয় জগতে আসার পর আলাদা করে পদবী ব্যবহার করতে হয়নি তাঁকে। নামটুকুই যথেষ্ট ছিল। পাঞ্জাবে জন্ম হলেও সুদর্শন, সুপুরুষ ধর্মেন্দ্রর ভাগ্য তাঁকে নিয়ে আসে মায়ানগরী মুম্বইতে।১৯৬০ সালে দিল ভি তেরা হাম ভি তেরে ছবির সঙ্গে বলিউডে ডেবিউ করেন ধর্মেন্দ্র। ‘শোলা অউর শবনম’ (১৯৬১) ছবির সাফল্যের পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ইয়াদো কি বারাত, চরাস, চুপকে চুপকে, সীতা অউর গীতা, শোলে, দোস্ত, আজাদ, দি বার্নিং ট্রেন- এর মতো ধর্মেন্দ্র ফিল্মোগ্রাফিতে ব্লকবাস্টার ছবির সংখ্যা অগুণতি। ৮৯ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে গেলেন অভিনেতা।
–
–
–
–
–
–
–