আত্মসমর্পণের সুযোগ করে দেওয়ার ফলে আপাতত তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান স্থগিত রাখার আবেদন জানালেন মাওবাদী (Communist Party of India Maoist)নেতৃত্ব। ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাওবাদীদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযান বন্ধ রাখার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আগামী বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদ নির্মূল করার লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। গত কয়েক মাসে মাওবাদী (Maoist)প্রভাবিত এলাকাগুলিতে আত্মসমর্পণ পর্ব চলছেই। এদিকে জোরকদমে চলছে যৌথ বাহিনীর অভিযানও।
গত সপ্তাহে অন্ধ্রপ্রদেশে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মাওবাদীদের(Maoist) অন্যতম শীর্ষনেতা মাডবী হিডমা নিহত হন। তার কয়েক দিন পরেই মাওবাদী নেতৃত্বের এই আর্জি প্রকাশ্যে আসে। হিডমা নিহত হওয়ার তিন দিন পরে অর্থাৎ গত ২২ নভেম্বর মাওবাদীদের মহারাষ্ট্র-মধ্যপ্রদেশ-ছত্তীসগঢ় স্পেশ্যাল জ়োনাল কমিটির নেতৃত্ব এই চিঠি লিখেছেন। সোমবার সেই চিঠি প্রকাশ্যে আসে এবং দেখা যায় সেখানে সই রয়েছে স্পেশ্যাল জ়োনাল কমিটির মুখপাত্র অনন্তের।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীস( Maharashtra Chief Minister Devendra Fadnavis), ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও সাই এবং মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদবের কাছে তাঁদের আর্জি ওই তিন রাজ্যে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান বন্ধ রাখা হোক। এছাড়া ‘অস্ত্র সংগ্রাম’ অস্থায়ী ভাবে বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁরা।
সূত্রের খবর, অনন্ত লিখেছেন,“এমএমসি (মহারাষ্ট্র-মধ্যপ্রদেশ-ছত্তীসগঢ় স্পেশ্যাল জ়োনাল কমিটি)-র সদস্যেরা অস্ত্রসমর্পণ করে সরকারি পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় যোগ দিতে চাইছে। তিন রাজ্য সরকারের কাছে অনুরোধ করছি, আমাদের একটু সময় দেওয়া হোক।’ তাঁরা ‘গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতা’য় বিশ্বাস করেন সেই কথাও বলা হয়েছে।
সংগঠনের প্রতিটি শাখার বাকিদের সঙ্গে পরামর্শ করতে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় চেয়েছেন অনন্ত। তিনি জানিয়েছেন ঐক্যবদ্ধ ভাবে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছতে কিছুটা সময় লাগবে। বাকি সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করে তাঁদের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য সময় দরকার। আগামী ২ ডিসেম্বর মাওবাদীরা ‘পিপল্স লিবারেশন গেরিলা আর্মি’ সপ্তাহ পালন করবে না বলেও জানানো হয়। শুধু তাই নয়, মাওবাদী নেতার চিঠিতে স্পষ্ট করেই লেখা হয়েছে, এই সময় চাওয়ার নেপথ্যে কোনও ‘গোপন উদ্দেশ্য’ নেই।
–
–
–