ভোট বাক্স ভরাতে এক বছর আগে অসম্পূর্ণ রাম মন্দির (Ram Mandir, Ayodhya) উদ্বোধন করেছিলেন, এবার ধ্বজা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে ধর্মের বুলি আওড়ে অযোধ্যায় রাম রাজনীতি নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi)। মঙ্গলবার সকালে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত ও উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath)সঙ্গে সঙ্গে রামমন্দিরে উপস্থিত হন দেশের প্রধানমন্ত্রী। পুরোহিতদের বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণে বেলা ১১টা ৫০ নাগাদ শুরু হয় ধ্বজারোহণ পর্ব। তার আগে রোড শো করেন মোদি। আগের বছরের অনুষ্ঠানের মতো এবারে সেলিব্রেটি থেকে শুরু করে শিল্প বা ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতি সেভাবে চোখে পড়েনি।
এদিন রাম মন্দিরে ধ্বজা উত্তোলনের পর নিজের বক্তব্যে ধর্মকে হাতিয়ার করে রাজনীতির কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী। এড়িয়ে গেলেন সীতার প্রসঙ্গ। সমসাময়িক সমস্যা থেকে শুরু করে দেশের আর্থসামাজিক ব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়ে কোন সুস্পষ্ট বার্তা দিলেন না। সিনেমার ডায়লগের মতো কিছু আবেগপ্রবণ কথা বলে বেকারত্ব থেকে আর্থিক সমস্যা কিংবা বিজেপি শাসনকালে নারী নির্যাতন- ধর্ষণের মতো দেশের জ্বলন্ত ইস্যু থেকে সকলের নজর ঘোরাতে চাইলেন। রাম মন্দির হওয়ার পর অযোধ্যার পর্যটনে যে উন্নতির স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন সেটা শুধুই ছিল ফাঁকা বুলি আর তাই এক বছর পরও তার এতটুকু বাস্তবায়িত হয়নি। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে কয়েক কোটি মানুষের রাম মন্দির দর্শনের কথা বললেও সেখানকার স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন মন্দির উদ্বোধনের প্রাথমিক উন্মাদনা কেটে যাওয়ার পর থেকে গত এক বছরে সেভাবে স্থানীয় অর্থনীতির উন্নতি হয়নি। অথচ নিজের বক্তব্যে একটানা মিথ্যাচার করে গেলেন প্রধানমন্ত্রী! চারটে শ্লোক আর ধর্মকে শিখন্ডী করে বাল্মীকি রামায়ণের পাঁচটা মুখস্থ বুলি আওড়ে গেলেন তিনি। যার নির্যাস আসলে শূন্য। এদিনের অনুষ্ঠানের অতিথি তালিকায় মূলত বিজেপিপন্থী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাই ছিলেন। ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়েছিল অযোধ্যার রামমন্দিরে। প্রায় দু’বছর পর মন্দির নির্মাণ শেষ হয়েছে।
–
–
–
–
–
–
–
–