সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের(Winter Session) প্রথম দিন থেকেই উত্তাল দুই কক্ষ। বিরোধীদের প্রতিবাদ, ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ, রাজ্যসভা থেকে ওয়াক আউট, লোকসভা দফায় দফায় মুলতুবি। মঙ্গলবারও এই প্রথা জারি রইল। এসআইআরের বিরুদ্ধে সংসদের বাইরেও বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কংরেস-সহ বিরোধী দলের সাংসদদের। চাপের মুখে SIR নিয়ে আলোচনা চাইছেন বিজেপির মন্ত্রী-সাংসদও।
এদিন SIR ইস্যুতে একত্রিত বিরোধী শিবির। সকালে সংসদ ভবনের মকরদ্বারের সামনে বিক্ষোভ দেখান বিরোধী সাংসদরা। হাতে প্ল্যাকার্ড ছিল প্রায় সকলেরই। স্লোগান ওঠে ”ভোট চোর, গদি ছোড়ন”, ”উই ওয়ান্ট জাস্টিস”। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ছিলেন তৃণমূল সাংসদ বাপি হালদার, মমতা বালা ঠাকুর, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী, কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এছাড়াও ছিলেন ডিএমকে সাংসদ কানিমোঝি-সহ অন্যান্যরা।

প্রথম দিন থেকেই উত্তাল দুই কক্ষ। বিরোধীদের প্রতিবাদ, ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ, রাজ্যসভা থেকে ওয়াক আউট, লোকসভা দফায় দফায় মুলতুবি। মঙ্গলবারও এই প্রথা জারি রইল। হই হট্টগোলের জেরে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মুলতুবি লোকসভা। দুপুর ২টো পর্যন্ত মুলতুবি রাজ্যসভাও।

চাপের মুখে SIR নিয়ে আলোচনা চাইছেন বিজেপি সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যও। তাঁর বক্তব্য, এ বিষয়ে আলোচনা দরকার। কেন্দ্রের মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন, “সব বিরোধী দলের সঙ্গে কথা বলেছি। ইলেক্টোরাল রিফর্মস থেকে দেশের মানুষের সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে রাজি। আজ বিরোধী দলনেতাদের বৈঠকে ডেকেছি। আলোচনায় অংশগ্রহণ করুন।”

সোমবার সংসদে মোদি বলেছিলেন, “বলেছিলেন, ‘নাটক করার অনেক জায়গা আছে। সেখানে গিয়ে করুন। সংসদ নাটক করার জায়গা নয়।” এর পাল্টা দিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক প্রশ্ন তুলেছিলেন,”মানুষের সমস্যার কথা তুলে ধরা কি ড্রামা? নাকি আলোচনা থেকে মোদি সরকার পালাতে চাইছে?” এ দিনও বিরোধীরা SIR নিয়ে আলোচনার দাবিতে এককাট্টা।

–

–

–

–


