পাঁচদিনের জন্য দিল্লি গিয়েছিলেন হেমন্ত সোরেন। এমন নয় প্রথমবার। তাতেই গোদি মিডিয়া তা নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু করে দিয়ে বিরোধী জোটে ভাঙন ধরাতে। পরিস্থিতি এমন, হেমন্ত নিজের রাজ্যে ফিরে আসার পরও প্রচার চালানো হচ্ছে তিনি এবার এনডিএ-তে (NDA) চলে যাচ্ছেন বলে। যদিও দিনের শেষে কংগ্রেস সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল (K C Venugopal) স্পষ্ট করে দিলেন ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand) কংগ্রেস-জেএমএম জোটে কোনও ধরনের ভাঙনের সম্ভাবনা নেই।
দিল্লিতে ব্যক্তিগত কারণে গিয়েছিলেন হেমন্ত সোরেন। স্ত্রী কল্পনা সোরেন (Kalpana Soren) সাংসদ শীতকালীন অধিবেশনে যোগ দেওয়ার জন্য দিল্লি গিয়েছেন গত সপ্তাহের শেষেই। সেই সময়ই দিল্লিতে হেমন্তও। এরপরই একশ্রেণির মিডিয়া ছড়াতে শুরু করে, দিল্লি (Delhi) গিয়ে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঝাড়খণ্ডের জোটের (I.N.D.I.A.) মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। ঝাড়খণ্ডে এবার কংগ্রেসের হাত ছেড়ে বিজেপির হাত ধরে এনডিএ-র সরকার গঠন করতে চলেছেন তিনি।
তবে বুধবারই রাঁচি ফিরেছেন হেমন্ত। আর সেই দিনই ঝাড়খণ্ড হাই কোর্ট (Jharkhand High Court) রায় দিয়েছে ইডি-র মামলায় মুখ্যমন্ত্রীকে আদালতে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে না। এরপরই দুইয়ে দুইয়ে চার করতে উদ্দত একাংশ। বিজেপির সঙ্গে রফার শর্তেই আদালতের এই রায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় এভাবেই তুলে ধরা হয় গোদি মিডিয়ার তরফ থেকে।
যদিও ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইরফান আনসারি স্পষ্ট করে দেন, বিজেপির নেতাদের সঙ্গে হেমন্ত সোরেনের সাক্ষাতের কোনও সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। ঝাড়খণ্ডে কংগ্রেস-জেএমএম জোট অক্ষত। কংগ্রেসের সঙ্গে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (JMM) যা সম্পর্ক, তেমনটা দেশের কোনও রাজ্যের কোনও শরিক দলের সঙ্গে নেই বলেও দলীয় মুখপাত্রের তরফে দাবি করা হয়। কাজেই ঝাড়খণ্ডে এনডিএ সরকার গঠনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন : অ্যাপ দিয়ে ফোনে আড়ি পাতা! চাপের মুখে ‘সঞ্চার সাথি’ নিয়ে পিছু হঠল কেন্দ্র
এরপরই গোটা বিষয়ে মাঠে নামে কংগ্রেস। ঝাড়খণ্ডের জোট শরিক দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল দাবি করেন, ঝাড়খণ্ড নিয়ে বিদ্বেষমূলক কথাবার্তা ও উদ্দেশ্যমূলক গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। ঝাড়খণ্ডে কংগ্রেস ও জেএমএম-এর জোট দৃঢ় রয়েছে। সস্তার ট্রোলিং করে এই জোটকে ভাঙা সম্ভব হবে না বলেও তিনি দাবি করেন।
–
–
–
–
