রাজ্যে উন্নয়নের গতি কোনওভাবেই যেন থেমে না যায়, সদা তৎপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচন কমিশনের চাপিয়ে দেওয়া এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়ার কারণে প্রশাসনের একটি বড় অংশ বিধানসভা নির্বাচনের আগে ব্যস্ত ভোটের কাজে। তার মধ্যে দিয়ে রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলির অগ্রগতি যাতে শ্লথ না হয়ে যায়, তার জন্য এবার বিশেষ পদক্ষেপ নবান্নের (Nabanna)। বাংলার বাড়ি, পথশ্রী–রাস্তারশ্রীর (Pathasree) মতো বড় প্রকল্পগুলির তদারকিতে মুখ্যমন্ত্রীর (Chief Minister) নির্দেশে নবান্ন ২৩ জন আইএএস আধিকারিকের (IAS officers) একটি বিশেষ দল গঠন করল। যাঁরা রাজ্যের জেলায় জেলায় নেমে সরকারি প্রকল্পগুলির বাস্তবচিত্র পরখ করবেন।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, যে বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে তাতে রয়েছেন রাজ্যের প্রথম সারির আইএএস আধিকারিকরা। তাঁরা প্রত্যেকেই বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন দফতরের সেক্রেটারি (Secretary) পর্যায়ে কর্মরত—গ্রামোন্নয়ন দফতরের সচিব, বিদ্যুৎ দফতরের সচিব, তথ্য ও সংস্কৃতি সচিব, খাদ্য সচিবসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দফতরের শীর্ষ আধিকারিকরা থাকছেন নজরদারির দলে। তাঁদের মূলত তিনটি কাজ করতে হবে যাতে সময়ের মধ্যে সব প্রকল্প সম্পূর্ণ করা যায়। দায়িত্ব হবে সরেজমিনে কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখা, কোথায় কাজ আটকে আছে তা শনাক্ত করা এবং দ্রুত সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া।
রাজ্য সরকারের লক্ষ্য, বাংলার বাড়ি প্রকল্পে নির্মাণকাজের গতি বাড়ানো, পথশ্রী–রাস্তারশ্রী প্রকল্পে রাস্তা মেরামত ও উন্নয়নকে সময়বদ্ধ করা এবং আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান প্রকল্পে স্থানীয় সমস্যাগুলির দ্রুত নিষ্পত্তি নিশ্চিত করা। এত বড় পরিসরে কাজ চলায়, কোন প্রকল্প কোন জেলায় কতটা এগোচ্ছে, কোথায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে, কোন ক্ষেত্রে অতিরিক্ত তদারকি প্রয়োজন—এই সব তথ্য সঠিকভাবে বোঝার জন্যই শীর্ষ আমলাদের মাঠে পাঠানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন : SIR প্রক্রিয়া চলাকালীন ‘হেল্প ক্যাম্প’: কীভাবে সাহায্য পাবেন, বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
মূলত রাজ্যের ২৩ জেলাকে পাঁচটি বিভাগে ভাগ করে প্রত্যেক জেলার জন্য একজন আইএএস আধিকারিককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক আইএএস আধিকারিকের পূর্বের কাজের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই ২৩ জনকে বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হচ্ছে। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের (Manoj Pant, SC) স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ২৩ জন আইএএস আধিকারিক রাজ্যের বিভিন্ন জেলা ও কলকাতা পুরসভার নির্দিষ্ট অঞ্চল ভ্রমণ করে রিপোর্ট দেবেন।
–
–
–
–
–
