নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ধর্ম নিয়ে বিজেপির বিভেদের রাজনীতি তত প্রকাশ্যে আসছে। আদতে বিজেপির নেতাদের ধর্মের মুখোশ যে সন্ন্যাসীদের পিছনে লুকিয়ে রাখা যাবে না, স্পষ্ট করে দিল বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজনৈতিকভাবে বাংলার শাসকদলকে টক্কর দিতে না পেরে বারবারই ধর্মের সাহায্য নিতে হয়েছে বিজেপিকে। তবে ধর্ম যে বিজেপির নেতাদের রাজনীতিতে জেতার অস্ত্র মাত্র, দিল্লিতে (Delhi) মন্দির ভাঙার ঘটনা উল্লেখ করে তা স্পষ্ট করে দিলেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
ব্রিগেডে (Brigade Parade Ground) দ্বিতীয়বার গীতাপাঠের (Gitapath) আসর সাজিয়ে পাঁচ লক্ষ জমায়েতের দাবি করেছে সনাতন সংস্কৃতি সংসদ। যদিও পাঁচ লক্ষ জমায়েত নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। নির্বাচনের আগে আদতে কোন উদ্দেশ্যে এই গীতাপাঠের আয়োজন তা স্পষ্ট করে কুণাল দাবি করেন, বিজেপি নেতাদের উপস্থিতিতে বিজেপির পৃষ্ঠপোষকতায় বিজেপির রাজনৈতিক ইভেন্ট (political event)। গীতাকে আমরা শ্রদ্ধা করি। কিন্তু গীতাকে রাজনৈতিক মার্কেটিংয়ে (political marketing) ব্যবহার করা হয়েছে। ভোটে এজেন্ট জুটত না। এখন বিএলএ-২ জুটছে না। কিছু মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য গীতার (Gita) অপব্যবহার করা।
আদতে বিজেপির যে নেতারা গীতাপাঠের আসরে প্রথম সারি আলো করে বসেছেন, তাঁদের মুখোশ খুলে কুণাল আরও দাবি করেন, বিজেপির কিছু নেতা বসে গীতা পড়ছেন। আর দিল্লিতে দলের নেতার গাড়ির পার্কিং করার জন্য একটি শিবমন্দির ভেঙে ফেলা হচ্ছে। হাহাকার করছেন হিন্দু ভক্তরা। গীতা কী, বিজেপিকে বোঝানোর দায়িত্ব কেউ দেয়নি। গীতায় কী বার্তা লেখা আছে বিজেপি নেতারা বোঝেন কি না, সন্দেহ আছে।
আরও পড়ুন : হনুমান-ধ্বজা উড়িয়ে গীতাপাঠ! বিজেপি নেতাদের উপস্থিতিতে গুলিয়ে গেল রাম-কৃষ্ণ
আবার সে হেন বিজেপির বিরোধী দলনেতা (LoP) কটাক্ষ করেছেন গীতাপাঠের আসরে মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতি নিয়ে। দাবি করেছেন আমন্ত্রণ সত্ত্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee) গীতাপাঠের আসরে না গিয়ে প্রমাণ করেছেন তিনি ৩৭ শতাংশের মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই পাল্টা জবাব দিয়েছেন কুণাল। তিনি স্পষ্ট করে দেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জন্মসূত্রে হিন্দু, ব্রাহ্মণ ঘরের কন্যা। কিন্তু তিনি সব ধর্মকে শ্রদ্ধা করেন, ভালোবাসেন। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে উনি বিজেপির রাজনৈতিক ইভেন্টে যোগ দেননি।
–
–
–
–
–
