কোচবিহার আর নির্বাচন। এই দুই শব্দ এক সঙ্গে শুনলেই মনে পড়ে যায় বিএসএফ-এর গুলি। আর সেই গুলিতে সাধারণ, ভোট দিতে আসা মানুষের মৃত্যু। পাঁচ বছরেও সেই বিচার পাননি কোচবিহারের শীতলকুচির মানুষ। অথচ সেই মামলায় জেল খাটছেন কোচবিহারের (Coochbihar) সাধারণ মানুষ। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের আমলে বিচারের এই প্রহসনের ছবি এখনও উজ্জ্বল কোচবিহারে। এরপর সেই বিএসএফ (BSF) ফের যদি কোচবিহারের মানুষের উপর অত্যাচার করার সাহস করে, তবে তা রুখে দিতে কী করবেন স্থানীয় মানুষ, মঙ্গলবার দলীয় সভা থেকে সেই নিদান দিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি মহিলাদেরই এগিয়ে আসার আহ্বান জানালেন।
রাজ্যের সীমান্তবর্তী জেলা কোচবিহারে বিএসএফ-এর অত্যাচার নিত্যদিনের ঘটনা। নির্বাচনের আগে তা আরও তীব্র হবে, এমনটাই আশঙ্কা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে কোচবিহারের মানুষকে আশ্বস্ত করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা, ভয় পাবেন না। প্রত্যেকটা অঞ্চলে মানুষ জোট বাঁধুন।
সেই সঙ্গে তিনি স্থানীয় মানুষের কাছে অনুরোধ করেন, বিএসএফ (BSF) যদি কারো উপর কোনও অত্যাচার করে মেয়েদের (women) এগিয়ে দিন। মেয়েরা সামনে দাঁড়াবে। ছেলেরা পিছনে থাকবে। আমি দেখতে চাই মা-বোনেদের ক্ষমতা বড় না বিজেপি পার্টির ক্ষমতা বড়। কোনটা বেশি আমি দেখতে চাই।
আরও পড়ুন : বাংলাকে ১০০ দিনের টাকা দিতে কেন্দ্রের শর্ত! দলীয় মঞ্চে কাগজ ছিঁড়ে প্রতিবাদ মমতার
এদিন দলীয় সভামঞ্চের সামনে আসেন ২০২১ সালে বিএসএফ-এর গুলিতে আনন্দ বর্মণের মৃত্যুর ঘটনা সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার ব্যক্তির পরিবারের সদস্য। তাঁর বিচারের আবেদনে তৃণমূল নেত্রী কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির স্বরূপ তুলে ধরে দাবি করেন, শীতলকুচির (Sitalkuchi) কেসে এই আনন্দ বর্মণ মামলায় সিবিআই (CBI) এখনও গ্রেফতার করে রেখে দিয়েছে। কি অন্যায় দেখুন। যে গুলি চালিয়েছিল তার কিছু হল না। আর যারা মারা গেল তাঁদের পরিবারকে জেল খাটতে হচ্ছে। এই যে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে (central agency) হাতের পাপেটে পরিণত করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার একটা অত্যাচারী, স্বৈরাচারী, ভ্রষ্টাচারী সরকার।
–
–
–
–
–
