নির্বাচনী সংস্কার নিয়ে লোকসভায় আলোচনায় তীব্র আক্রমণ শানালেন তৃণমূল কংগ্রেসের উপদলনেতা শতাব্দী রায়। বুধবার তিনি অভিযোগ করেন, এসআইআর বা ‘স্পেশ্যাল ইনটেনসিভ রিভিশন’ শব্দটিকে মোদি সরকার এবং নির্বাচন কমিশন আতঙ্কে পরিণত করেছে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এসআইআর শব্দটি সাধারণত সম্মানের সঙ্গে ব্যবহৃত হয়। আজ এটি গব্বর সিংয়ের মতো ভয় তৈরি করেছে।’’
শতাব্দীর প্রশ্ন, এসআইআরের উদ্দেশ্য কী? তাঁর অভিযোগ, নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘আগে নির্বাচন কমিশন বলেছিল এপিক বাধ্যতামূলক। এখন বলছে, এপিক বাধ্যতামূলক নয়। আবার যাঁদের নাম ভোটার তালিকায় থাকবে না তাঁরাও দেশের নাগরিক—তাহলে তাঁরা কি দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক?’’
এসআইআর প্রক্রিয়ার সময়সীমা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। মাত্র তিন মাসের মধ্যে এই বিশাল সংশোধনী সম্ভব কি না তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন শতাব্দী। একই সঙ্গে বিএলও–দের উপর অতিরিক্ত চাপের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘‘চাপ সহ্য করতে না-পেরে বহু বিএলও আত্মহত্যা করছেন। তা হলে কেন এই এসআইআর জোর করে চালানো হচ্ছে?’’
অনুপ্রবেশ ইস্যুতেও মোদি সরকারকে আক্রমণ করেন শতাব্দী রায়। তাঁর দাবি, সীমান্তে অনুপ্রবেশ রোখার দায়িত্ব বিএসএফের, যা কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন। ‘‘যারা অনুপ্রবেশ করছে তারা অদৃশ্য নয়। তাহলে তারা ঢুকতে পারছে কী করে? এটি কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা,’’ বলেন তিনি।বিজেপিকে কটাক্ষ করে তাঁর দাবি, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ‘‘স্যার’’ নয়, ‘‘ম্যাডাম’’—অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই জয়ী হবেন।
আরও পড়ুন – বাসে চড়ে গানের আড্ডা, মিউজিকাল চমক লাগলো ‘ঠিক সন্ধ্যে নামার আগে’
_
_
_
_
_
_
