নির্বাচন ঘোষণা করে দিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। চলতি ডিসেম্বরেই দামামা বেজে গেল সেই নির্বাচনের। ২০২২ সালে এরকমই একটি নির্বাচনের ঘোষণা পর উত্তাপ ছড়িয়েছিল পড়শি বাংলাদেশে (Bangladesh)। যার পরে ২০২৪ সালের গণ অভ্যুত্থান ও অন্তর্বর্তী সরকার গঠন। সেই অন্তর্বর্তী সরকার (interim government) এবার ২০২৬ সালের নির্বাচন (general election) ঘোষণা করল। ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়েছিল।
অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (CEC) এ এম এম নাসিরুদ্দিন নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেন বৃহস্পতিবার। সেই ঘোষণা অনুযায়ী, মনোনয়ন জমার প্রক্রিয়া শুরু হবে ঘোষণার পর থেকেই। মনোনয়ন জমার শেষ দিন ২৯ ডিসেম্বর। মনোনয়ন বাছাই ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। মনোনয়ন সংক্রান্ত অভিযোগ নেওয়া হবে, ৬ থেকে ১২ জানুয়ারি। সেই আবেদনের নিষ্পত্তি ১২ থেকে ১৮ জানুয়ারি। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা (candidate list) প্রকাশ ২১ জানুয়ারি। নির্বাচনী প্রচার (campaign) শেষ হবে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে সাতটায়।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশের নির্বাচন বয়কট করার হাসিনার হুঁশিয়ারি
ইতিমধ্যেই মহম্মদ ইউনূস প্রশাসন দেশের রাজনৈতিক দলের স্বীকৃতি বাতিল করেছে আওয়ামি লীগের। ফলে আওয়ামি লীগ সমর্থকরা নির্বাচনে কোন ভূমিকা নেবেন শুক্রবার থেকে তার কিছুটা আভাস পাওয়া যাবে। মনোনয়ন জমার পর্বে তাঁদের অবস্থান স্পষ্ট হবে। নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট আওয়ামি লীগের সব কার্যক্রম স্থগিত করে দেওয়ার পরে শেখ হাসিনা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তাঁর দল কোনওভাবেই নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বাইরে থাকবে না। নির্বাচন ঘোষণার পরে বাস্তবে তাঁদের কী অবস্থান থাকবে, এবার তা স্পষ্ট হবে।
–
–
–
–
–
–
