Thursday, December 18, 2025

ভারত না থাকলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সম্ভব হত না: ‘বিজয় দিবস’-এ শ্রদ্ধা জানিয়ে স্বীকার মুক্তিযোদ্ধার

Date:

Share post:

বাংলাদেশের (Bangladesh) ৫৪তম স্বাধীনতা দিবসে সেনাবাহিনীর (Army) পূর্বাঞ্চলীয় সদর কলকাতায় পালিত হল হিসেবে। মঙ্গলবার সেখানে বিশেষ যৌথ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। ছিলেন বাংলাদেশের আট মুক্তিযোদ্ধা। তাঁদের সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে আসা মোট ২০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলও যোগ দেয়। 

বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ফোর্ট উইলিয়ামের (Fort William) বিজয় দুর্গে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইস্টার্ন কমান্ড। ১৯৭১ সালের যুদ্ধে শহিদ ভারতীয় সেনা জওয়ানদের পাশাপাশি বাংলাদেশের (Bangladesh) মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মবলিদানকে সম্মান জানাতেই এই অনুষ্ঠান। ছিলেন ১৯৭১ সালের যুদ্ধের প্রবীণ যোদ্ধা, গ্যালান্ট্রি অ্যাওয়ার্ড প্রাপক, বর্তমান ও প্রাক্তন সেনা আধিকারিক এবং বিশিষ্ট অসামরিক ব্যক্তিত্বরা। শ্রদ্ধা জানান, বেঙ্গল সাব এরিয়ার জিওসি মেজর জেনারেল রাজেশ অরুণ মোগে, ইস্টার্ন কমান্ডের চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহিত মালহোত্রা, বাংলাদেশের সামরিক প্রতিনিধিদলের পক্ষে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম ডি লুতফর রহমান ও বাংলাদেশের জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা সংগঠনের প্রবীণ সদস্য বীর প্রতীক এম ডি হাবিবুল আলম। তাঁদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ইস্টার্ন এয়ার কমান্ডের এয়ার মার্শাল সুরত সিং, একাধিক প্রাক্তন সেনাপ্রধান ও সেনা আধিকারিকরা। 

অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে শ্রদ্ধা জানান পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C V Anand Bose)। শহিদদের প্রতি চিরস্মরণের প্রতীক হিসেবে সেই সময় সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার থেকে ফুলের পাপড়ি ছড়ানো হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যপাল বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের সাহসী যোদ্ধাদের আত্মত্যাগই লক্ষ লক্ষ মানুষের স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দিয়েছে এবং একটি স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছে। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দেওয়া দেশ ছিল ভারত, যার ভিত্তিতে পারস্পরিক বিশ্বাস ও সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। 

অনুষ্ঠানের ফাঁকে এক বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ভারতের সহায়তা ছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা সম্ভব হত না। ইন্দিরা গান্ধির ভূমিকা কখনও ভুলে যাওয়া যায় না। তবে বর্তমান ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়েও ভাবার সময় এসেছে বলে মত প্রকাশ করেন তিনি। তাঁর কথায়, এক হাতে তালি বাজে না, সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণ খুঁজে বার করে দু’দেশকেই তা সুন্দর করার পথে এগোতে হবে।

ইস্টার্ন কমান্ড সূত্রে জানানো হয়েছে, ১৯৭১ সালের যুদ্ধে এই কমান্ডের ঐতিহাসিক ভূমিকার কারণেই বিজয় দিবস তাদের কাছে বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। প্রতি বছর এই দিনটি সাহস, পেশাদারিত্ব এবং জাতির প্রতি অটল দায়বদ্ধতার স্মারক হয়ে ওঠে।

spot_img

Related articles

হোটেল থেকে হোমস্টে, বড়দিনে জমজমাট শৈল শহরের বুকিং! 

উত্তরবঙ্গ জুড়ে ভরপুর শীতের আমেজ, সঙ্গে আবার উৎসবের মরশুম- তাই উচ্চবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত সকলেরই ক্রিসমাস (Christmas time) ডেস্টিনেশন...

আজ থেকে ‘নো ম্যাপিং’ ভোটারদের নোটিশ পাঠানো শুরু কমিশনের

বঙ্গে এসআইআর (Special Intensive Revision) পরবর্তী পূর্ণাঙ্গ খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর এবার শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর)...

নিউটাউনের ঝুপড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

উত্তর ২৪ পরগনার নিউটাউনে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার সন্ধ্যার পর...

বিজনেস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি কনক্লেভ: বিনিয়োগের বার্তা নিয়ে শিল্পপতিদের সামনে মুখ্যমন্ত্রী

রাজ্যে শিল্প ও বিনিয়োগের সম্ভাবনাকে আরও বিস্তৃত করতে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ‘বিজনেস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি কনক্লেভ’। ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে...