ওড়িশার মালকানগিরি জেলার এমভি-২৬ (MV-26) গ্রামে বাঙালি উদ্বাস্তুদের উপর হামলা ও উচ্ছেদের অভিযোগকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা! ১৯৫৮ সাল থেকে বসবাসকারী বাঙালি পরিবারগুলির হাজার হাজার সদস্য ঘরছাড়া হয়েছেন বলে অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শাসক দলের মদতপুষ্ট কিছু দুষ্কৃতী বাঙালি উদ্বাস্তুদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়ে বলপূর্বক এলাকা ছাড়তে বাধ্য করেছে। ঘটনার জেরে চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন ওই এলাকার বাঙালি উদ্বাস্তুরা।
এই অমানবিক ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, কলকাতার রাজপথে বিক্ষোভে সামিল হল জাতীয় বাংলা সম্মেলন। দুপুর ৩টে নাগাদ ধর্মতলায় লেনিন মূর্তির সামনে থেকে ওড়িশা সরকারের দফতর উৎকল ভবনের উদ্দেশে একটি প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন স্তরের মানুষ অংশ নেন।
মিছিল থেকে অবিলম্বে ঘরছাড়া বাঙালি পরিবারগুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, পুড়ে যাওয়া বাড়িঘরের ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং ঘটনার সঙ্গে যুক্ত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তোলা হয়। প্রতিবাদকারীদের অভিযোগ, বিজেপি শাসিত ওড়িশায় ধারাবাহিকভাবে বাঙালি উদ্বাস্তুদের উপর আক্রমণ চলছে এবং মালকানগিরির ঘটনা তারই চরম দৃষ্টান্ত।
জাতীয় বাংলা সম্মেলনের নেতারা প্রশ্ন তোলেন, ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে বসবাসকারী মানুষদের নিরাপত্তা কেন আজও নিশ্চিত করা গেল না। তাঁদের বক্তব্য, স্বাধীন ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে মানুষকে এভাবে নিজের ভিটেমাটি থেকে উৎখাত করা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।জানা গিয়েছে, মালকানগিরির এই এলাকায় মূলত পূর্ববঙ্গ থেকে আসা বাঙালি উদ্বাস্তুরা বসতি গড়ে তুলেছিলেন এবং দীর্ঘদিন ধরে তাঁরাই ওই অঞ্চলের অন্যতম বাসিন্দা। সম্প্রতি স্থানীয় কিছু গোষ্ঠীর সঙ্গে বিবাদের জেরে এই উচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সংগঠনের দাবি, অবিলম্বে সরকারকে হস্তক্ষেপ করে মালকানগিরির বাঙালি উদ্বাস্তুদের নিরাপত্তা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
আরও পড়ুন- এই জন্যই তৃণমূল বিজেপিকে হারায়: মেসি-ঘটনার সঙ্গে কুম্ভের তুলনা করে বোঝালেন অভিষেক
_
_
_
_
_
_
