কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল দার্জিলিং পাহাড়ের শিক্ষা পরিস্থিতি। জিটিএ অঞ্চলে ৩১৩ জন শিক্ষক নিয়োগকে বেআইনি ঘোষণা করেছে হাইকোর্টের প্রিন্সিপাল বেঞ্চ। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ‘সংযুক্ত মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠন’ আগামীকাল থেকে পাহাড়ের সমস্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।
শিক্ষক সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, এই ধর্মঘটের আওতায় থাকবে দার্জিলিং পাহাড়ের সমস্ত মাধ্যমিক স্কুল এবং হিলসের উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। সংগঠনের দাবি, আদালতের এই সিদ্ধান্ত পাহাড়ের শিক্ষা ব্যবস্থাকে গভীর অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দিচ্ছে। সংগঠনের নেতাদের বক্তব্য, ১৯৯৭ সাল থেকে দার্জিলিং পাহাড়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের কোনও ব্যবস্থা কার্যকর নেই। সেই সময় থেকেই রাজ্য সরকার এবং দার্জিলিংয়ের শাসক দলের নির্দেশনায় শিক্ষক নিয়োগ হয়ে আসছে। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা সেই প্রক্রিয়াকে এখন অবৈধ ঘোষণা করায় পাহাড়ের শিক্ষা ব্যবস্থা কার্যত বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা তাঁদের।

শিক্ষক সংগঠন জানিয়েছে, এই ধর্মঘটের ফলে কোনও নির্বাচন পরীক্ষা, বোর্ড পরীক্ষা কিংবা ফাইনাল পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হবে না। যেসব বিদ্যালয়ে ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে, সেখানেও ফলাফল প্রকাশ করা হবে না। এক কথায়, সমস্ত শিক্ষক কলম নামানোর পথে হাঁটবেন বলে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখযোগ্য ভাবে, ২০১৭ সালের নভেম্বরের পর থেকে দার্জিলিং পাহাড়ে বড় কোনও ধর্মঘট হয়নি। ব্যতিক্রম ছিল ২০২৪ সালের ২ অক্টোবর, যখন চা বাগানের শ্রমিকরা পুজো বোনাসের দাবিতে ১২ ঘণ্টার ধর্মঘট ডেকেছিলেন। তবে স্কুল বন্ধ থাকার মতো পরিস্থিতি দীর্ঘদিন দেখা যায়নি। হাইকোর্টের এই রায়কে কেন্দ্র করে আগামীকাল থেকে পাহাড়ে ফের স্কুল বন্ধের ছবি দেখা যাবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

আরও পড়ুন – ফুটেজ না দেখা পর্যন্ত মন্তব্য নয়! কীর্তি ইস্যুতে কড়া অবস্থান অভিষেকের

_

_

_

_

_
_

