বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগ এবার ক্যান্টিনের খাবারে। টাকা নিয়েও ক্যান্টিনে (canteen) খাবার না দেওয়ার নিদান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। তার জেরে মধ্য রাতে ছাত্রীরা ক্যাম্পাসে (Visva-Bharati campus) থালা বাজিয়ে বিক্ষোভে নামলেন। বিক্ষোভের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টরকে (Proctor) বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
হস্টেলে থাকা পড়ুয়ারা বিশ্বভারতীতে ক্যান্টিন থেকেই খাবার খেতে বাধ্য প্রায়। সেই ক্যান্টিনের খাবারের মান এতই নিম্ন ছিল যে উপাচার্য (Vice-chancellor) হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করার পরে প্রথম ক্যান্টিনের খাবারের দিকে নজর দিতে হয় প্রবীর কুমার ঘোষকে (Prabir Kumar Ghosh)। এবার টাকা নিয়েও খাবার না দেওয়ার ফতোয়ায় বিক্ষোভে ছাত্রীরা।

বিশ্বভারতীয় ছাত্রীদের অভিযোগ, ক্যান্টিনে খাবার খাওয়ার জন্য প্রতিদিন ৯০ টাকা করে খরচ হয় তাঁদের। আগে থেকে সারা মাসের কুপন কেটে রাখতে হয়। তবে খাবার বরাদ্দ হয়। সেই মতো ডিসেম্বর মাসের শুরুতে গোটা মাসের খাবারের কুপন (coupon) কেটে রাখেন ছাত্রীরা। এরই মধ্যে ২৩ ডিসেম্বর থেকে বিশ্বভারতীতে (Visva-Bharati) পৌষ উৎসবের (Pousmela) সূচনা। সেই সময়ে তিনদিন ও তার পরবর্তী কয়েকদিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভিড় থাকায় খাবার দিতে পারা যাবে না, ক্যান্টিন কর্তৃপক্ষ জানায়। ২২ ডিসেম্বর পর্যন্তই খাবার পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়।

এর ফলে দুতরফে সমস্যায় পড়ে ছাত্রীরা। প্রথমত, ইতিমধ্যেই মাসের কুপন সংগ্রহ করা ও টাকা দেওয়ার কাজ সেরেছে তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে অন্য কোথাও খাবার জন্য নতুন করে খরচ করতে হবে বাকি মাস তাঁদের। এমনিতেই পৌষ উৎসবের সময়ে বাইরে খাবারের দাম যেমন বাড়ে, তেমন খারাপ হয় গুণগত মান। দ্বিতীয়ত, পড়ুয়ারা অনেকেই প্রোজেক্ট বা পরীক্ষার জন্য পৌষ উৎসবের পরেও ক্যাম্পাসেই হস্টেলে (hostel) থাকেন। তাঁরা তাহলে সেই সময়ে খাবার জন্য রাতে কীভাবে বেরোবেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম পালন কীভাবে হবে, প্রশ্ন ছাত্রীদের।

আরও পড়ুন : জল শক্তির টাকাই ‘রেডি নেই’ কেন্দ্রের! তৃণমূল প্রতিনিধিদের জানালেন ‘নিরুপায়’ মন্ত্রী

এই দাবিগুলি নিয়ে মঙ্গলবার মধ্যরাতে ক্যাম্পাসের ভিতরে নেপাল রোডে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। থালা বাজিয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করা হয়। পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, ছাত্রীদের সমস্যার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টর দেখছেন।

–

–

–

–


