বাংলায় শিল্পে জোয়ার। ২ কোটি কর্মসংস্থান হয়েছে। কমেছে ৪০ শতাংশ বেকারত্ব। বৃহস্পতিবার ধনধান্য অডিটোরিয়ামে বাণিজ্য কনক্লেভে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বলেন, “আমি ক্ষমতায় এসে চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলাম, বাংলার ভাবমূর্তি বদলাবই। আজ সেই পরিবর্তন চোখে পড়ছে।”। এর পরেই বিরোধীদের অপপ্রচারের জবাব দিয়ে মমতা বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের নামে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। কিছু মানুষ শুধু পশ্চিমবঙ্গের বদনাম করে। কে বলে পশ্চিমবঙ্গে শিল্পের (Industry) সম্ভাবনা নেই? পশ্চিমবঙ্গ এশিয়ার অন্যতম বড় লজিস্টিক হাব, যা শিল্পক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পশ্চিমবঙ্গ অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ রাজ্য। কখনও কখনও রাজ্যের বিরুদ্ধে ভুয়ো খবর ছড়ানো হয়। টাকা নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় রাজ্যের বদনাম করা হয়। এই ভুয়ো খবরকে চ্যালেঞ্জ করছি।“
মুথ্যমন্ত্রী জানান, “দেউচা পাচামির কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। এর আগে ১২-১৬ ঘণ্টা লোডশেডিং হত। এখন ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ (Electricity) সরবরাহ হচ্ছে। পুরুলিয়ায় জঙ্গল সুন্দরী প্রকল্পের কাজ চলছে। তথ্যপ্রযুক্তিক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এ-রাজ্যের সিলিকন ভ্যালি ৩৫ হাজার কোটির বিনিয়োগ টেনেছে। গত দু’বছরে রিয়েল এস্টেটে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হয়েছে। বাংলায় পর্যটনশিল্প আন্তর্জাতিক স্তরেও স্বীকৃত। রাষ্ট্রপুঞ্জ দুর্গাপুজো ও কালীপুজোকে স্বীকৃতি দিয়েছে। শিলিগুড়িতে তৈরি হবে মহাকাল মন্দির।“

মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) জানান, দেশের মধ্যে লজিস্টিক হাবে শীর্ষে বাংলা। অ্যামাজন, ফ্লিপকার্টের মতো সংস্থাও এ রাজ্যে বিনিয়োগ করছে। দক্ষ মানবসম্পদ ও প্রশিক্ষিত কর্মীর জোগান— এটাই বাংলার ট্যালেন্ট পুল। গত ১৪ বছরে শ্রমদিবস নষ্টের সংখ্যা শূন্য বলেও দাবি মমতার।

কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, রাজ্যে প্রায় দুই কোটি কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে এবং বেকারত্ব কমেছে ৪০ শতাংশ। বাংলা ইতিমধ্যেই সেমিকন্ডাক্টর হাব হিসেবে চিহ্নিত, আমেরিকা (America) ও ব্রিটেন (Britain) থেকে বিনিয়োগ আসছে। পোশাক ও চর্মশিল্পে দেশসেরা অবস্থান, হাবরা–অশোকনগরে ONGC-র কাজ শুরু করেছে।

মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “যারা বদনাম করছে, তারা অনেক সত্য জানে না। চুপ থাকা আমাদের আসল অস্ত্র। জেলাসির কোনও ওষুধ নেই।”

–

–

–

–

–


