শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রয়াত হলেন বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা বাহিনীর উপ-প্রধান এ কে খন্দকার। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধত্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি।
এ কে খন্দকার বাংলাদেশের বিমান বাহিনীর প্রধানের দায়িত্বও সামলেছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। জিয়াউর রহমানের সময়ে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বে ছিলেন, পরবর্তীতে এইচ এম এরশাদের আমলে মন্ত্রিত্বও করেছেন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের টিকিটে পাবনা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারে পাঁচ বছর মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করার সময় মুক্তিবাহিনীর প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এ কে খন্দকার। বাংলাদেশের সরকার তাঁকে ২০১১ সালে স্বাধীনতা পদক এবং বীর উত্তম খেতাব দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে তার অবদানের স্বীকৃতি দিয়েছে।

তিনি ১৯৫১ সালে অবিভক্ত পাকিস্তানের বিমান বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন এবং ১৯৬৯ থেকে ঢাকায় উইং কমান্ডার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিবাহিনীতে যোগ দিয়ে তাজউদ্দিন আহমেদ ও এম এজি ওসমানের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। স্বাধীন বাংলাদেশের বিমান বাহিনী গঠনে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।

আরও পড়ুন – ‘ধুরন্দর’২ ছবিতে আদৌ প্রকাশ্যে আসবে কুখ্যাত এই গ্যাংস্টার?

_

_

_

_

_
_


