যুবভারতীতে মেসি (Messi) কাণ্ডের বল গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta HC)। সোমবার এই বিষয়ে মামলার শুনানি ছিল। একাধিক জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সোমবার হাইকোর্টে একাধিক আইনজীবী এই মামলায় সওয়াল জবাব করেন। শেষ পর্যন্ত রায়দান স্থগিত রেখেছে ডিভিশন বেঞ্চ।
মামলাকারী ময়ূখ বিশ্বাসের আইনজীবীকে সব্যস্যাচী চট্টোপাধ্যায় ক্যাগকে দিয়ে অডিট করানোর দাবি তোলেন। আরও এক মামলাকারী আয়ূষ মজুমদারের আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য প্রশ্ন তোলেন যেখানে মন্ত্রীরা জড়িত সেখানে কি আদৌও রাজ্য সরকার গঠিত কমিটি দ্বারা নিরপেক্ষ তদন্ত হবে?

যুবভারতীতে মেসির (Messi) অনুষ্ঠানে অশান্তির ঘটনায় দর্শকদের টাকা ফেরানোর দায় নেই রাজ্যের, “হাইকোর্টে জোর সওয়াল করেন রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, আমরা টিকিট বিক্রি করিনি। টাকা উদ্ধারের কাজও আমাদের নয়। আমরা রিকভারি এজেন্ট নই বলে সওয়াল করেছে রাজ্য। তবে আদালত নির্দেশ দিলে অন্য কথা বলে মত রাজ্যে ফুটবল তারকার নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।”

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। সংবেদনশীলতার জন্যই ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। শাহরুখ খান, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় যে উপস্থিত থাকবেন, লিখিত ভাবে পুলিশকে তা জানানো হয়নি। গ্যালারিতে জলের বোতল নিয়ে প্রবেশের অনুমতি নেই।”

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং অন্য দুই মামলাকারীর তরফে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করানোর দাবি তোলা হয়েছে।সেই নিয়ে কোনও রায় দেয়নি আদালত।

পাস বিতর্কেও বিস্তারিত তথ্য উঠে আসে। শতদ্রু দত্ত মোট ৪০০টি পাস দেন, এর মধ্যে ২৭টি ছিল ‘ক্লোজ প্রক্সিমিটি’ পাস, বাকি ৩৭৩টি ডিউটি পাস। আইবি ওয়েস্ট বেঙ্গল, সোশাল মিডিয়া মনিটরিং সেল এবং ঊর্ধ্বতন পুলিশ আধিকারিকদের মিলিয়ে মোট ৮২টি ক্লোজ প্রক্সিমিটি পাস দেওয়া হয়।

আদালতে প্রশ্ন তোলা হয়, লেকটাউনে সুজিত বসু যে মূর্তি বসিয়েছেন সেটা কি ব্যক্তিগত জমিতে না সরকারি জমিতে। রাজ্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মন্ত্রী হিসাবে নয় সুজিত বসু ব্যক্তিগত উদ্যোগেই এই মূর্তি বসিয়েছেন।

–

–

–

