শীতকালে দূষণ দেশের বিভিন্ন রাজ্যেই একটা বড় সমস্যা। মুম্বইয়ের দূষণ(Maharashtra Pollution) পরিস্থিতি নিয়ে কড়া নির্দেশ বম্বে হাইকোর্টের। দিল্লির দূষণ অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। দূষণের দিক থেকে পিছিয়ে নেই বাণিজ্য নগরী মুম্বইও।
এই পরিস্থিতি নিয়ে কঞ্জুরমার্গের ডাম্পিং গ্রাউন্ড সম্পর্কিত বিভিন্ন পিটিশন জমা পড়েছে। সেই মামালার শুনানি ছিল মঙ্গলবার। মহারাষ্ট্র দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড এবং মুম্বই পুরসভাকে ভর্ৎসনা করেছে বম্বে হাইকোর্ট।

এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বম্বে হাইকোর্ট(Maharashtra Pollution) স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, বর্তমানের এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে অবহেলার সঙ্গে যেভাবে নির্মাণকাজ চলছে সেটা কখনই মেনে নেওয়া যায় না। এখন উন্নয়নকে গুরুত্ব না দিয়ে, মানুষের জীবনের মূল্য দিতে হবে। অ্যামিয়াস কিউরি (নিরপেক্ষ বক্তা) দারিয়াস কাম্বাট্টা আদালতে বলেন নির্মাণ কাজের সময় উড়তে থাকা ধুলো এই দূষণের মূল কারণ।

আদালত বলেছে দূষণ সংক্রান্ত নির্দেশিকা আইনের সমতুল্য। এই নির্দেশ শুধুমাত্র কাগজে কলমে নয়। প্রশাসন সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল নির্মাণস্থলে সেন্সর ভিত্তিক এয়ার মনিটর বসানোর কিন্তু সেটা বসানো হয়নি কেন সেই প্রসঙ্গেও কথা বলেছে আদালত। এই বিষয়ে কাজ না করার জন্য কর্ম কর্তাদের ভর্ৎসনা করেছে আদালত।

প্রশাসনের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল নির্মাণস্থলে নিয়মিত জল ছেটাতে হবে, কাজের অংশ ঢেকে রাখতে হবে, সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাতে হবে, সেন্সর-নির্ভর এয়ার মিটার বসানোর বেবস্থা করতে হবে। কিন্তু এই কোন নিয়মই মানা হয়নি। এরপরই উচ্চ আদালত পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয়, এই নিয়ম শুধুমাত্র কাগজে কলমে নয়, বরং তা আইনের সমতুল্য। উন্নয়নের নামে মানুষের স্বাস্থ্যের প্রতি অবহেলা দেখানো যাবে না।

এদিন বিএমসি কমিশনার ভূষণ গগরানি এবং এমপিসিবি কমিশনারকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। এমপিসিবি আগামিকাল অবধি সময় নেয়। তাই আগামিকাল বুধবার পর্যন্ত আদালতের কাজ স্থগিত রাখা হয়েছে। এই মামলার শুনানি বড়দিনের ছুটিতেও হতে পারে বলে জানিয়েছে আদালত।

–

–

–

–


