উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সাধারণ মানুষ-বয়স্কদের হয়রানি করা হচ্ছে। বাংলায় সবার মধ্যে অকারণে ভীতি তৈরি করা হচ্ছে। এটা বিজেপির ষড়যন্ত্র এবং চক্রান্ত। বিজেপির পুতুল হিসেবে নির্বাচন কমিশন এই কাজগুলি করছে। সিইও দফতরে মুখ্য আধিকারিককে চিঠি দিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই অভিযোগ করল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।

শনিবার তৃণমূলের প্রতিনিধি দলে ছিলেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, মানস রঞ্জন ভুঁইয়া, মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মন্ত্রী শশী পাঁজা। মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের অভিযোগ, তাঁর অভিযোগ, এএসডিডি (ASDD) ক্যাটাগরিতে ইআরও নেট থেকে প্রায় ৫৮ লক্ষ নাম বাদ দেওয়া হয়েছে, যা কোনও জেলা বা স্থানীয় স্তরের সিদ্ধান্ত নয়, বরং কেন্দ্রীয় স্তরের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করা হয়েছে। তাঁর আরও অভিযোগ, ভেরিফিকেশনের জন্য যাদের স্কুল থেকে কাগজপত্র আনার কথা বলেছে তাঁরা কীভাবে ৫ দিনের মধ্যে নিয়ে আসবেন? সময় দেওয়া হচ্ছে না। উদ্দেশ্য হচ্ছে নাম বাদ দিয়ে দেওয়া।

চন্দ্রিমার প্রশ্ন, “এই নামগুলি বাদ দেওয়া হল কেন? এটা কি সেই উদ্দেশেই করা হচ্ছে, যার ইঙ্গিত কিছু রাজনৈতিক দল আগেই দিয়েছিল – যে দু কোটি নাম ভোটার তালিকাথেকে বাদ যাবে?” তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, এই ধরনের প্রক্রিয়া তাঁরা কোনও ভাবেই মেনে নেবেন না। তাঁর আরও অভিযোগ করেন, এর মাধ্যমে কার্যত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ERO)-দের ক্ষমতা খর্ব করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, “ফার্স্ট অ্যাপিলেট অথরিটি হল ডিইও (DEO)। কিন্তু যদি ইআরও স্তরেই নাম ‘ডিসপোজ’ করে দেওয়া হয়, তাহলে ডিইও-র ভূমিকা কোথায়?”
এদিকে শুনানির স্থান নির্ধারণ করা নিয়েও কমিশনকে আক্রমণ করেছেন চন্দ্রিমা। বলেন, বহু ক্ষেত্রেই শুনানির জন্য ভোটারদের ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে যেতে বলা হচ্ছে। “একজন বয়স্ক মানুষ বা শারীরিকভাবে দুর্বল নাগরিকের পক্ষে এত দূরে গিয়ে শুনানিতে হাজির হওয়া কি আদৌ সম্ভব?”

একইভাবে সরব হয়েছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস,”দেখতে পাচ্ছি কেন্দ্র বারবার ভোটার ঠিক করে দিচ্ছেন। ৫৮ লক্ষ মানুষের নাম পাবলিক ডোমেনে নেই কেন। এই ৫৮ লক্ষের নাম সাইটে দিক। জীবীত মানুষ কয়েক হাজারকে মৃত দেখানো হয়েছে। আমরা বাংলার মানুষের জন্য লড়াই করছি। একটা বৈধ ভোটারের নাম বাদ দিতে দেব না। “নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও সরাসরি প্রশ্ন তোলেন অরূপ বিশ্বাস। তিনি বলেন, “যদি এখানে বসে থাকা আধিকারিকরাই কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারেন, তাহলে তাঁরা সেখানে বসে আছেন কেন?” তৃণমূলের বক্তব্য, আমরা সিইও অফিসে বারবার আসছি, দাবি জানাচ্ছি, চিঠি লিখছি কিন্তু কোনও উত্তর পাচ্ছি না।

–

–

–

–

–
–
–
–


