২০১০-১১ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে শেষবার টেস্ট সিরিজ জয়ের মুখ দেখেছিল ইংল্যান্ড। তারপর থেকে এখনো পর্যন্ত তিনবার অজিভূমে ব্রিটিশ ক্রিকেটারদের সফর হলেও সিরিজ জয় আর হয়নি। এবার ৫৪৬৮ দিন পর লজ্জা মুক্তি। তবে সিরিজ নয় অন্তত একটা টেস্ট জিতেই চুনকাম হওয়ার হাত থেকে নিজেদের বাঁচালেন স্টোকসরা। মেলবোর্নে ম্যাচ খেলার আগেই সিরিজ হাতছাড়া হয়ে গেছিল। তবে হোয়াইট ওয়াশ হতে হল না ইংল্যান্ডকে। দুদিনে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে কিছুটা হলেও সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছেন ইংরেজ ক্রিকেটাররা।

পেস আক্রমণে ইংল্যান্ড বাহিনীকে জর্জরিত করতে চেয়েছিল স্মিথের দল। ঘাসের পিচে মিচেল স্টার্কদের আক্রমণ কৌশল বুমেরাং হয়ে ফিরে এল। পাঁচ ম্যাচের টেস্টে প্রথম দিন পড়ল ২০ উইকেট, দ্বিতীয় দিনে ১৬ উইকেট। দুদিনে ৪ ইনিংসে মোট রান ৫৭২। অ্যাশেজ ইতিহাসে যা গত ১১৬ বছরের মধ্যে নিঃসন্দেহে একটা রেকর্ড তো বটেই। এই ম্যাচের আগে মদ্যপান বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছিল ব্রিটিশ দলে। সিরিজ চলাকালীন সমুদ্র সৈকতে মদ্যপানের অভিযোগ ওঠে ইংল্যান্ড দলের তারকাদের বিরুদ্ধে। তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সে দেশের ক্রিকেট বোর্ড। এই পরিস্থিতিতে সমর্থকদের পাশে থাকার অনুরোধ করেন স্টোকস। অবশেষে ফ্যানেদের জয় উপহার দিল তাঁর দল। চতুর্থ ইনিংসে সাহসী ব্যাটিং করল দল। জয়ের জন্য লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭৫। অস্ট্রেলিয়ার ব্যর্থ করে মেলবোর্নে শেষ হাসি হাসল ইংল্যান্ড।

–
–

–

–

–

–

–

–
–

