প্রথমবার স্বাধীন পাকিস্তান সরকার সরকারিভাবে বড়দিন পালন করেছে ২০২৫ সালে। আর ঠিক সেই বছরেই প্রতিবেশী ভারতে একের পর এক রাজ্যে আক্রমণের মুখে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের (Christian) মানুষ। বজরং দলের হামলার মুখে বড়দিন উদযাপন। এবার সেইসব ঘটনায় সরব পাকিস্তানের (Pakistan) বিদেশ মন্ত্রক (Foreign Office)। পাল্টা পাকিস্তানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের (minority) উপর পুরোনো হামলার ঘটনা নিয়ে পাকিস্তানকে চাপে রাখার কৌশল ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের (MEA)।

পাকিস্তান ফরেন অফিস-এর (Foreign Office) তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়, ভারতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের (minority) নিপীড়নের ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগের। এই সব হামলা রাষ্ট্র পরিচালিত বলে অভিযোগ করা হয়। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের উপর হামলার ঘটনার উদাহরণ টেনে মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর হামলার অভিযোগেও সরব পাকিস্তান।

চলতি বছর নজিরবিহীনভাবে আক্রান্ত ভারতের খ্রিস্টান সম্প্রদায়। গোটা দেশে অন্য ধর্ম বা ভাষার মানুষের উপর হামলার ঘটনা যেন বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে একটা প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারই প্রতিফলন বড়দিনের (Christmas) আগেও। ওড়িশা, ছত্তিশগড়, অসম, উত্তরপ্রদেশের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যেই একমাত্র এই ধরনের হামলা এই সব ঘটনায় বিজেপির মদতের প্রশ্ন তুলেছে। আর এবার সেই প্রশ্নই পাকিস্তানের মুখে।
আরও পড়ুন : উন্নাও ধর্ষণ: সুপ্রিম কোর্টে জামিন খারিজ সেঙ্গারের, নির্যাতিতাকে আইনি সহযোগিতার বার্তা

তবে পাকিস্তানের তোলা প্রশ্নে সরব হতে ছাড়েনি ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের (MEA) তরফে বিবৃতি জারি করে দাবি করা হয়, যে দেশে এই ধরনের হামলার ভয়ঙ্কর উদাহরণ রয়েছে তাদের এই ধরনের বিবৃতি ভারত ধর্তব্যের মধ্যে রাখে না। বিভিন্ন ধর্মের সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের ভয়ঙ্কর ও শৃঙ্খলাবদ্ধ হামলার ঘটনা সুপ্রতিষ্ঠিত। আঙুল তুলে তারা তাদের দোষ ঢাকতে পারবে না। কার্যত পাকিস্তানের দিকে আঙুল তুলে ভারতে খ্রিস্টানদের উপর হামলাকে লঘু করে দেখানোরই চেষ্টা বিদেশ মন্ত্রকের।

Our response to media queries regarding remarks of the Spokesperson of the Pakistani Ministry of Foreign Affairs on incidents in India ⬇️
🔗 https://t.co/xMhlbQZYqc pic.twitter.com/WU09obKsbj
— Randhir Jaiswal (@MEAIndia) December 29, 2025
–

–

–

–



