দীর্ঘ অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই শেষে প্রয়াত বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তাঁর মৃত্যুতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

খালেদা বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে একাধিকবার ক্ষমতায় এসেছেন তিনি। তবে তাঁর শাসনকাল রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হলেও শুরু থেকেই বিতর্কও পিছু ছাড়েনি। বিশেষ করে দুর্নীতির অভিযোগে বারবার শিরোনামে উঠে এসেছিলেন বাংলাদেশের এই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। আওয়ামী লিগ ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Seikh Hasina) একাধিকবার অভিযোগ করেছেন, খালেদা জিয়া (Khaleda Zia) তাঁর ছেলে তারেক রহমানের নামে বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি কিনেছেন। বেলজিয়াম, মালেশিয়া, দুবাই এবং সৌদি আরবে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিকানার দাবি করা হলেও এসব অভিযোগ বরাবরই খারিজ করেছে খালেদা জিয়া ও তাঁর দল বিএনপি। খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পর তাঁর রেখে যাওয়া সম্পদের পরিমাণ নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে। আরও পড়ুন: খালেদার স্মৃতিচারণায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী, এক্স হ্যান্ডেলে শোকবার্তা পোস্ট বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর

খালেদা জিয়া তাঁর সময়ে বিভিন্ন দুর্নীতি ছাপিয়ে ‘জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট’ দুর্নীতি। এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। ওই মামলায় আদালত তাঁকে ১৭ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। সেই সময় থেকেই একাধিকবার অসুস্থ হয়ে পড়ার জন্য পরবর্তীতে তিনি জামিন পান। পাশাপাশি ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সময়ে গঠিত ‘শহিদ জিয়াউর রহমান চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’ -কে কেন্দ্র করেও একাধিক অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ অনুযায়ী, ট্রাস্টের নামে অবৈধ উৎস থেকে ‘কালো টাকা’ সংগ্রহ করত।
২০০৫ সালে কাকরাইলে ৪২ কাঠা জমি কেনার সময় জমির আসল দামের থেকে অনেক বেশি টাকা জমির মালিকদের দিয়েছিল সরকার। কিন্তু উপযুক্ত প্রমানের অভাবে আদালতে ছাড় পেয়ে যান খালেদা। এছাড়াও ২০০৫ সালের ৯ জানুয়ারি তেজগাঁওয়ের একটি ব্যাঙ্কে খোলা সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ‘কালো টাকা’ সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে। এই মামলাতেও দোষী সাব্যস্ত হন। কারাদণ্ডের সাজা দেয় আদালত। এসব মামলার জন্য দীর্ঘদিন আইনি লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে। বর্তমানে বাংলাদেশে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ আনুমানিক ৫ কোটি টাকা (বাংলাদেশি মুদ্রায়)। এছাড়াও বিদেশে তারেকের বিপুল সম্পত্তি মিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।

–

–

–

–

–

–

