
অভাবী মেধাবীদের স্কলারশিপ, ইতিহাস গড়ছে বৃন্দাবন মাতৃমন্দির

চোখে স্বপ্ন। মস্তিষ্কে প্রতিভা। হৃদয়ে লড়াই।
একঝাঁক কিশোরকিশোরী। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকে দুরন্ত ফল। এগোনর ইচ্ছে। অথচ তীব্র আর্থিক প্রতিকূলতা।

এদের পাশে বৃন্দাবন মাতৃমন্দির। শুধু দুর্গাপুজো নয়, এদের দিকে হাত বাড়িয়ে দেওয়ার অভিযানেও।

রবিবার সন্ধেয় স্কলারশিপ পেল ত্রিশজন। প্রতিটির মূল্য দশ হাজার টাকা।
আবেদন এসেছিল অনেক। বাছাই করে আর্থিক প্রতিকূলতম অবস্থানের ত্রিশ জনকে। বিভিন্ন জেলা থেকেও।

একদিকে প্রাপক কিশোর বলছে, বাড়ি ফিরতে পারব না আজ। সন্ধের পর হাতি বেরোচ্ছে। ফিরতে হবে বাঁকুড়ার গ্রামে।

আবার পাঁচ বছর আগে ডাক্তারি পড়ার স্বপ্ন নিয়ে স্কলারশিপ নেওয়া কিশোরী আজ ডাক্তারির ছাত্রী হিসেবে এসে ঘোষণা করছে তার বাবার নামে একটি স্কলারশিপ।

বৃন্দাবন মাতৃমন্দির নাগরিকদের সামিল করেছে। এলাকার মানুষ তাঁদের প্রয়াত বাবা, মা বা অন্য কারুর নামাঙ্কিত স্কলারশিপের অর্থ দিচ্ছেন। উপকৃত হচ্ছে কত প্রতিভা।

আমি কৃতজ্ঞ, ধন্য এরকম একটি মঞ্চের আমন্ত্রণে। গতবারই বলেছিলাম, আমার প্রয়াত পিতা ডাঃ কল্যাণ কুমার ঘোষের স্মরণে একটি স্কলারশিপ দেব। উদ্যোক্তারা যে ছাত্রটিকে বেছে নিয়েছেন, তার চোখেও ডাক্তারি পড়ার স্বপ্ন। এইরকম কর্মযজ্ঞে সামিল থাকতে পেরে ভালো লাগছে।
আমি একটু দেরিতে গেছি। দেখছিলাম স্কলারশিপ পাওয়া ছেলেমেয়েগুলিকে। কী সব নম্বর। একটু সহযোগিতা পেলে সোনা ফলাবে।

আমার সিদ্ধান্ত, আরও কমাবো নিজের খরচ। পরের বার থেকে আমার প্রয়াত মায়ের নামেও একটি স্কলারশিপ দেব।
যত সঙ্কটই থাক, এই কাজে টাকা দিলে ঈশ্বর আবার ঠিক জুগিয়ে দেন।
আরও অনেকে প্রাণখুলে এগিয়ে এসেছেন। এই সংক্রমণটা স্বাস্থ্যকর।

মূক ও বধির স্কুলের এক প্রতিভাকেও স্কলারশিপ দিল এই মঞ্চ।

বৃন্দাবন মাতৃমন্দিরের গোটা টিম, শিবেন্দু, প্রেমাঙ্কুরসহ সবাই; এবং রনিদা, এরা সত্যিকারের একটা বড় কাজ করছে।

আন্তরিক অভিনন্দন রইল।

অনুরোধ, আপনিও এই কর্মযজ্ঞে অংশ নিতে পারেন। আমরা এদিকওদিক খরচ তো অনেক করি। আসুন, তার থেকে কিছু বাঁচিয়ে তুলে দিই এক প্রকৃত অভাবী মেধাবীর হাতে। কটা বইখাতা আর একটু সহযোগিতায় সে অনেক বড় যুদ্ধে জিতে আসতে পারবে।

বৃন্দাবন মাতৃমন্দির, স্যালুট।
www.brindabanmatrimandir.org