করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে দেশ জুড়ে লকডাউন জেরে সোমবার থেকে বন্ধ মিষ্টির দোকান। এর জেরে মাথায় হাত হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইনের শক্তিগর থেকে বাড়ুইপাড়া রেল স্টেশন পর্যন্ত আশপাশের সমস্ত ছানা প্রস্তুতকারীরা। বিক্রি না হয় প্রতিদিন লিটার লিটার দুধ ফেলে দিচ্ছেন নর্দমায়। সিঙ্গুরের বেড়াবেড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধূসুদনপুর, বেরাবেড়ি, খাসেরভেঁড়ি সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় 6 হাজার দুধ ও ছানা ব্যবসায়ী রয়েছেন। প্রতিদিন গড়ে এক লক্ষ লিটার দুধের 5হাজার কেজি ছানা তৈরি ট্রেনে করে যায় কলকাতায়।
প্রায় দশ হাজার গরু ও মোষ রয়েছে এই গ্রামগুলিতে। ব্যাঙ্ক থেকে কৃষি ঋণ নিয়ে গরু কেনেন ব্যবসায়ীরা। প্রতিটি গরুর খাওয়া খরচ বাবদ খরচ হয় 400 টাকা। গত ছয়দিন ধরে ছানা রফতানি বন্ধ থাকায় প্রতিদিন দুধ নষ্ট হচ্ছে। বিভিন্ন দুধ বিক্রয় কেন্দ্রগুলিতে দুধ না কেনায় সমস্যায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। করোনা আতঙ্কের সুযোগ নিয়ে গবাদি পশুর খাদ্য খড়, ভুসি, ছোলার খোলার দামে কালোবাজারির অভিযোগ উঠছে বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে। প্রতিদিন একটি গবাদি পশুর জন্য যে খরচ পড়ে, তা থেকে দুধ ও ছানা তৈরি করে উপার্জন করেন তাঁরা । কিন্তু গত দুদিন ধরে দুধ ও ছানা বিক্রি বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছে তারা। তাঁদের দাবি, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে মাদার ডেয়ারি সহ অনান্য দুগ্ধজাত সংস্থা তাঁদের থেকে দুধ কেনার ব্যবস্থা করুক। না হলে সংসারের টাকা খরচ করে গবাদি পশুদের বাঁচিয়ে রাখা যাবে না। সমস্যার বিষয়টি নিয়ে বেড়াবেড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের আর্জি, এই সমস্যার সমাধানে হস্তক্ষেপ করুন মুখ্যমন্ত্রী।



