ভিত্তিহীন অভিযোগ, কড়া জবাব দিল ereaders

দেবাশিস পাঠকের লেখা ই-বই ” মীরজাফর বিশ্বাসঘাতক ছিলেন না” প্রকাশ করেছে ereaders. তা নিয়ে কুৎসার চেষ্টা ব্যর্থ হল। শুক্রবার এক মহিলা ফেস বুকে দাবি করেন 2019 সালে এই বিষয়ে তাঁর একটি বই বেরিয়েছে। দেবাশিস তার থেকেই বিষয়টি নিয়েছেন। একটি স্বার্থান্বেষী মহল এ নিয়ে কুৎসা করে। তিন চার ঘন্টার মধ্যেই তথ্য প্রমাণসহ জবাব দিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন,” বিষয়টি 2012 সালে আমার সম্পাদিত সাপ্তাহিক খবরের কাগজ পত্রিকায় দেবাশিস পাঠকই লিখেছিল। সঙ্গে অভিনেতা সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়েরও লেখা ছিল এই বিষয়ে। এখন দেবাশিস তার লেখাই ই-বইয়ের জন্য নতুন মোড়কে লিখেছে। ফলে সে বিষয়টি কারুর কাছ থেকে নেয় নি। বরং 2012তে প্রথম প্রকাশিত বিষয়টিই পরে অন্য কারুর নেওয়ার অবকাশ থাকে।” কুণাল সেই পত্রিকার ইস্যুটিও প্রকাশ করেন। মহিলা আরও দাবি করেছিলেন এই বই প্রকাশের বিষয়ে তিনি কুণালের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। কুণাল এ বিষয়ে বলেন,” একজন মহিলা কীভাবে এত মিথ্যা বলতে পারেন ভাবতে পারছি না। উনি এত লিখছেন, ছবি দিচ্ছেন; তাহলে আমার সঙ্গে ওঁর ফোনালাপের অডিওটি প্রকাশ করুন।” কুণাল পরে বলেন,” ereaders এর অভিযানে অনেকের কষ্ট হচ্ছে। তাই কুৎসার চেষ্টা। কিন্তু শকুনের শাপে গরু মরবে না।” বিষয়টি নিয়ে ফেস বুক পোস্ট করেন কুণাল। তিনি লিখেছেন:

প্রসঙ্গ : মীরজাফর বিশ্বাসঘাতক ছিলেন না। বিষয় হাইজ্যাকের অভিযোগের জবাবে।

1) ” মীরজাফর বিশ্বাসঘাতক ছিলেন না” শীর্ষক ই-বইটি ই-রিডার্স আপলোড করেছে গতকাল। লেখক দেবাশিস পাঠক।

2) আজ দুপুরে আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় ফেস বুকের কিছু কমেন্টে।

3) এক লেখিকা দাবি করেছেন বিষয়টি তাঁর এবং তিনি এনিয়ে একটি বই লিখেছেন। তাঁর অভিযোগ লেখক দেবাশিস তাঁর বিষয় নকল করেছে।

4) এই বিষয়ে তিনি কিছু ছবি পোস্ট করেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে বইটি 2019 সালে প্রকাশিত। এবং একই বিষয়।

5) এই প্রসঙ্গে লেখিকা দেবাশিস এবং আমাকে অকথ্য গালাগালি করেছেন। এক মহিলাকে উদ্বিগ্ন দেখে অনেকের বুকে ব্যথা করেছে এবং কয়েকজন কিছু না খোঁজ নিয়ে তাঁকে সমর্থন করে মায়ের থেকে মাসীর দরদ বেশির তত্ত্বকে প্রতিষ্ঠা করেছেন।

6) এই বিষয়ে আমি সব খোঁজ নেওয়ার পর প্রমাণসহ জানাচ্ছি:

লেখিকার বই 2019-এ প্রকাশিত।

আর দেবাশিসেরই এই বিষয়ে লেখা 2012 সালের 29 অগাস্ট সংখ্যার ” খবরের কাগজ”-এ প্রকাশিত। সেই সঙ্গে একই বিষয়ে অভিনেতা সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা। পত্রিকার সম্পাদক আমি এবং অতিথি সম্পাদক ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। প্রতিবেদনগুলিতে দেখানো হয়েছিল মীরজাফর বিশ্বাসঘাতক ছিলেন না।
এই কভার স্টোরির প্ল্যান ও সিদ্ধান্ত ছিল আমার।

ফলে আমরা কেউ অন্য কারুর বিষয় নকল করেছি, এই কথাটা আসে কী?
বরং যারা আগে কাজটা করেছে, তারা কিছু বলার দাবি রাখে।

7) এখন দেবাশিস এই লেখাটি বাড়িয়ে একটি বইয়ের মত করে দিয়েছে। হয়ত আরও তথ্য দিয়েছে। তাতে কি ওর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা যায়? নামের মিল হতেই পারে। কিন্তু ও প্রতিষ্ঠিত লেখক। ইচ্ছাকৃত বিষয় নকল ও করবে বলে বিশ্বাস করি না।

8) আমি লেখিকার বইটির কথা জানতাম না। জানলে হয়ত সতর্ক হতাম। যদিও তার প্রশ্ন ছিল না। বিষয়টি গোচরে আসার সঙ্গে সঙ্গে দেবাশিসের সঙ্গে আমার কথা হয়। সেও একটি বিবৃতি পাঠিয়েছে।

9) আমি অবাক হয়ে দেখলাম লেখিকা পোস্ট করেছেন তিনি নাকি আমার সঙ্গে ফোনে কথা বলে বই প্রকাশে বারণ করেছিলেন। আমি বিস্মিত। আমাকে কেউ কোনো ফোন করেন নি। আমাকে কেউ কোনো যুক্তিসম্মত কথা বললে আমি সাড়া দিই নি, এ ঘটনা ঘটে না। কিন্তু এক মহিলা কীভাবে বলতে পারেন আমার সঙ্গে কথা হয়েছে, আমি ভাবতে পারছি না।

10) একটি উদাহরণ: আমি কর্ণগড়ের রানি শিরোমণিকে নিয়ে বই লিখি। এরপর এখন তাঁকে নিয়ে আরও কাজ হচ্ছে, আরও লেখক লিখছেন। আমি যদি সত্যিই লেখক হই, আমি তাকে স্বাগত জানাবো, নাকি অসভ্যের মত ভাষা দিয়ে নাটুকে পোস্ট করব?

2012 সালের 29 অগাস্ট সংখ্যার “খবরের কাগজ” -এর প্রচ্ছদ ও লেখাগুলি সঙ্গে পোস্ট করলাম।
2012 সাল আগে না 2019 সাল আগে, একটু ভেবে দেখবেন।

দেবাশিসের লেখাই দেবাশিস বাড়িয়েছে। দোষ কোথায়?

ই-বুক প্রকাশ সাড়া ফেলেছে।
বিপুল পাঠক।
শকুনের শাপে গরু মরবে না।
ereaders.co.in এগিয়ে যাবে।
কাজের ক্ষেত্রে ভুল হলে বলুন, শুধরে নেবো।
কিন্তু খোঁজখবর না নিয়ে একতরফা গালিগালাজ দিলে বিষয়টা জটিল হবে।

 

Previous articleBreaking: গোষ্ঠী সংক্রমণ প্রতিরোধে হটস্পট ‘সিল’-এর সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের: মুখ্যসচিব
Next articleব্রেকফাস্ট নিউজ