ছোট-বড় শহরের অলিগলি থেকে রাজপথ কিংবা হাইওয়ে। দু’পাশে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে রং-বেরঙের ব্যানার-হোডিং। কিন্তু লকডাউনের শুনশান রাস্তায় তাদের দেখবে কে? কপালে চিন্তার ভাঁজ এড এজেন্সির। আসছে না নতুন বিজ্ঞাপন। বিজ্ঞাপনদাতারা জানিয়েছে, বকেয়া টাকাও দিতে পারবে না তারা। গভীর সঙ্কটে গোটা ইন্ডাস্ট্রি। রাজ্যের অন্তত ১০ লক্ষ মানুষ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষে আউটডোর বিজ্ঞাপনের কাজের সঙ্গে যুক্ত। বড়সড় লোকসানের মুখে এই ইন্ডাস্ট্রি। ফলে সমস্যায় পড়তে চলেছে কয়েক হাজার পরিবার।

সঙ্কট মোচনে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কর মকুবের আর্জি জানিয়েছে এ রাজ্যের “আউটডোর অ্যাডভ্যার্টাইজিং অ্যাসোসিয়েশন”। আবেদন জানিয়ে ই-মেল করা হয়েছে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং মুখ্য সচিব রাজীব সিনহাকেও। তাঁদের জানানো হয়েছে, ছোট, মাঝারি ও বড় ব্যবসায়ী-সহ আউটডোর বিজ্ঞাপনের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন রাজ্যের দশ লক্ষ মানুষ। কর্পোরেশন, মিউনিসিপ্যালিটি-সহ পঞ্চায়েত এলাকাতে আপাতত এক বছরের সমস্ত কর মকুব করা হোক।

গত ১৫ মার্চের পর থেকে বিজ্ঞাপনদাতারা টাকা দেওয়া বন্ধ করেছেন। এমতাবস্থায় চলতি আর্থিক বছরে আউটডোর বিজ্ঞাপনের উপর কর মকুব করা হোক। ‘আউটডোর অ্যাডভ্যাটাইজিং অ্যাসোসিয়েশন’-এর সভাপতি অরূপ চৌধুরি বলছেন, “লকডাউনের ফলে মিডিয়া ওনার এবং এজেন্সিগুলি ফাঁপরে। ফ্লেক্স প্রিন্টিংয়ে জড়িত লক্ষ লক্ষ মানুষের হাতেও কাজ নেই। বিজ্ঞাপনদাতারা টাকা দেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। যেসব বাড়ির ছাদে হোডিং বা ব্যানার আছে সেই মালিকদেরও আমাদের বিনীত অনুরোধ আগামী ছয় মাস আমাদের ভাড়া মকুব করুন। পরের ছয় মাস প্রদেয় টাকার অর্ধেক দিতে পারব।”

অরূপবাবু জানিয়েছেন, “আমরা কর্মীদের ছাঁটাই করতে চাই না। আয়ের পথ বন্ধ। অন্যদিকে প্রত্যেক সংস্থার ব্যাংকের লোন চলছে। আগামী মাসে বেতন দিতে পারব কি না জানিনা। রাজ্য সরকারের কাছে তাই চলতি বছরে কর মকুবের আকূল আবেদন জানাচ্ছি।”

লকডাউন পর্বের দুর্দিনে কলকাতায় আউটডোর বিজ্ঞাপনের কর কি মকুব হবে? জানা যাচ্ছে, সিদ্ধান্ত নেবেন মেয়র।
