করোনা সংক্রমণ কেন্দ্রীয় সরকারের অন্দরে, আতঙ্কে কাজকর্ম প্রায় বন্ধ

করোনা সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে কেন্দ্রীয় সরকারের অন্দরেই৷ একের পর এক আক্রান্ত হচ্ছেন বিভিন্ন মন্ত্রকের আমলারা। বাদ যাচ্ছেন না সাধারণ কর্মীরাও। ইতিমধ্যেই একে একে বন্ধ হয়েছে নীতি আয়োগ, শ্রমশক্তি ভবন, রেল ভবন, শাস্ত্রী ভবন, সংসদ ভবনের একাংশ। সরকারি কাজকর্ম প্রায় লাটে উঠেছে। বাধ্য হয়ে কেন্দ্র এখনও জোর দিচ্ছে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-এ৷ বিভিন্ন শিফটে কেবলমাত্র উপসর্গহীনদেরই অফিসে আসতে বলা হচ্ছে। এক সঙ্গে বহু সংখ্যক কর্মী নিয়ে সরকারি কাজে ঝুঁকি নিচ্ছে না মোদি সরকার। জোর করা হলে সরকারি কাজকর্ম একদমই স্তব্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা৷

কেন্দ্রের প্রায় প্রতিটি মন্ত্রকেই থাবা বসিয়েছে ভাইরাস। সবমিলিয়ে এখন ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছে সরকারি দপ্তরগুলিতে। উদ্বেগ বাড়ছে মন্ত্রীমহলেও। ওদিকে, মিনিস্ট্রি অব পার্সোনেল, ডিপার্টমেন্ট অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ রিমর্ফস অ্যান্ড পাবলিক গ্রিভান্সেস এক নির্দেশিকা জারি করেছে। তাতে বলা হয়েছে, মুখোমুখি বৈঠক একবারেই নয়। আলোচনা, কথাবার্তাও এড়িয়ে চলতে হবে। জোর দিতে হবে ইন্টারকম ও ভিডিও কনফারেন্সে। শুধু তাই নয়, এক একটি বিভাগে দুজনের বেশি অফিসার নয়। একদিনে অফিসে ২০ জনের বেশি উপস্থিতিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। কারন, একসঙ্গে সব অফিসার যদি আইসোলেশনে যান, দফতরে তালা ঝুলবে৷ অফিসে সর্বদা মাস্ক এবং ফেস কভার পরে থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নিয়ম না মানলে কড়া শাস্তি। সেই সঙ্গে অফিসকে জীবানুমুক্ত করতে একাধিক নির্দেশ দিয়েছে সরকার। কম্পিউটারের কীবোর্ড, মাউস, ফোন, এসির রিমোর্ট, দরজার হাতল, সুইচবোর্ড, লিফটের বোতাম, শৌচাগারে কলের পাইপও বারে বারে স্যানিটাইজ হচ্ছে৷
কেন্দ্র ইতিমধ্যেই ‘আনলক-ওয়ান’ পর্ব চালাচ্ছে। দেশজুড়ে অফিস-কাছারিও খুলছে। আর তাতেই লাগাম ছাড়া হয়ে উঠছে করোনা সংক্রমণ।

Previous articleশিল্পী ও প্রোডিউসার গিল্ডকে নিয়ে অরূপের জট কাটানোর বৈঠক
Next articleনবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী, কী বললেন তিনি?