গত ২৪ ঘণ্টায় কোচবিহারের তুফানগঞ্জ মহকুমার সবথেকে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ২৪ ঘণ্টায় মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৩২৪.৪০ মিলিমিটার। বৃষ্টিপাতের কারণে রীতিমতো ফুলে-ফেঁপে উঠেছে তুফানগঞ্জ সংলগ্ন সব কয়টি নদী। তার মধ্যে রায়ডাক এক, মরা রায়ডাক, বুড়া রায়ডাক নদীতে বন্যা পরিস্থিতি হওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। তুফানগঞ্জ ২ নম্বর ব্লকের বক্সিরহাট, রামপুর এলাকার প্রায় ৪০০ বাড়ি জলমগ্ন। বাড়িঘর ছেড়ে প্রচুর মানুষ রাস্তায় উঠেছেন। একই সঙ্গে জলের নীচে তলিয়ে গিয়েছে কয়েকশো বিঘা কৃষি জমি। লাগাতার জল বাড়ছে নদীগুলিতে।

তুফানগঞ্জের পাশাপাশি কোচবিহারে ৯৮ মিলিমিটার, মাথাভাঙ্গা ১৩৫ মিলিমিটার, দিনহাটায় ৭৭ মিলিমিটার, মেখলিগঞ্জে ১৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
কোচবিহার জেলা সেচ দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, জেলার প্রায় সবকটি নদী জলস্ফীতি সীমারেখায় রয়েছে। এখনও পর্যন্ত লাল সতর্কতায় কোন নদী পৌঁছয়নি। তবে বৃষ্টি চলতে থাকলে পরিস্থিতি ভয়ানক হয়ে উঠতে পারে। কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান বলেন, গোটা জেলার বন্যা পরিস্থিতির উপরে প্রশাসনিক ভাবে নজর রাখা হয়েছে। প্রতিটি ব্লক, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলাপরিষদ কেউ প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। কোথাও কোনো রকম পরিস্থিতি তৈরি হলে প্রশাসনিক ভাবে তা মোকাবিলা করা হবে। ইতিমধ্যেই ত্রাণ মজুত করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত বন্যার রিলিফ ক্যাম্প করার প্রয়োজন হয়নি। বিভিন্ন স্কুলকে চিহ্নিত করা রয়েছে, প্রয়োজন হলে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষদের সেখানে নিয়ে আসা হবে।
বৃষ্টিপাতের কারণে কৃষি জমি তলিয়ে যাওয়ার ফলে ক্রমাগত কৃষিজাত পণ্য কাঁচামাল এবং সবজির দাম বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে জেলাজুড়ে। ইতিমধ্যেই সবজির দাম সাধারণের তুলনায় বেশ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
