কফি হাউস শব্দ দুটির মধ্যেই লুকিয়ে আছে একটা নস্টালজিক ব্যাপার। বছরের পর বছর ধরে বাঙালির
আড্ডা দেওয়ার পীঠস্থান হিসেবে খুব জনপ্রিয় ও পরিচিত নাম কজেল স্ট্রিটের ইন্ডিয়ান কফি হাউস। এই কফি হাউসের সঙ্গে অতীতের অনেক সোনালী ইতিহাস জড়িয়ে আছে। শিল্পী-সাহিত্যক-নাট্যকর্মী থেকে কলেজ পড়ুয়া, আড্ডা দেওয়ার পারফেক্ট ঠিকানা ছিল এই কফি হাউস। কিন্তু করোনা আবহে এখন অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে ঐতিহাসিক-নস্টালজিক কফি হাউসও।

কফি হাউসের সেই আড্ডা আর থাকবে না। এটা সত্যি মেনে নেওয়া কঠিন। কিন্তু আড্ডা না হোক, কফি হাউসের দীর্ঘ ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে কার্যত মরিয়া হয়েছেন এখানকার কর্মীরা। করোনা মোকাবিলায় দীর্ঘ লকডাউনে অন্য সবকিছুর মতোই বন্ধ ছিল কফি হাউস। আনলক পর্বের শুরু থেকেই অনেক হোটেল-রেস্তরাঁ খোলার অনুমতি মিললেও, এখনও গ্রিন সিগন্যাল পায়নি কফি হাউস।
এদিকে প্রায় তিনমাস কর্মহীন-বেতনহীন কফি হাউসের কর্মচারীরা। তাই তাঁরা কফি হাউস খোলার আবেদন নিয়ে এবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হতে চলেছেন কর্মীরা।

এ ক্ষেত্রে কফি হাউ কর্তৃপক্ষ ও কর্মচারীরা সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনেই যাতে কফিহাউস খোলার অনুমতি দেওয়া হয় সেই চেষ্টা করছেন। তাঁরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে নতুন নিয়মের একটা খসড়া প্রশাসনকে দিতে চলেছে।


কফি হাউস খোলার তাগিদে নতুন যে নিয়মবিধি প্রশাসনের কাছে খসড়া প্রস্তাব আকারে জমা দিতে চলেছে কর্তৃপক্ষ ও
কর্মচারীরা—

(১) দল বেঁধে একসঙ্গে একটি টেবিলে বসে আর আড্ডা নয়।
একটি টেবিলে বসতে পারবে দু’জন।

(২) টেবিল সংখ্যা ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হবে।

(৩) একটা টেবিল থেকে অন্য টেবিলের দূরত্ব হবে কমপক্ষে ৬ ফুট।

(৪) ঐতিহ্য মেনে আর কাঁচের গ্লাস বা কড়ির কাপ-প্লেট নয়, কাগজের কাপ-প্লেটেই পরিবেশন করা হবে কফি। অন্য খাবার ও স্নাকস দেওয়া হবে একইভাবে।
(৫) খাবার পরিবেশনের দায়িত্বে থাকা সকলেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক, স্যানিটাইজার ও গ্লাভস ব্যবহার করবেন।

(৬) ক্রেতাদেরও মাস্ক বাধ্যতামূলক।

(৭) আর ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা নয়, ক্রেতারাদের অনুরোধ করা হবে খাওয়া শেষে টেবিল খালি করার জন্য
