মহামারীর কারণে চার দেওয়ালে আটকে সকলে। মন চাইছে একটু বেরিয়ে পড়তে। তাই চিন্তা না করে, নিয়ম মেনে বেরিয়ে পড়তে পারেন। কারণ সমস্ত বিধিনিষেধ মেনে আগেই খুলেছে কিছু হোটেল , লজ । এবার খুলছে ১৩ টি সরকারি টুরিস্ট লজও ।
অনলাইনে বুকিংয়ে ব্যাপক সাড়া। তবে পরিস্থির কারণে পাহাড় থেকে সমুদ্র সব জায়গার বাছাই করা এই ১৩ ট্যুরিস্ট লজের নিয়মাবলী বদল করা হচ্ছে। পর্যটন দফতর সূত্রে খবর, লকডাউনের জেরে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এই পর্যটন শিল্পের। তাই এই সরকারি ট্যুরিস্ট লজের মাধ্যমে আয় করতে চায় তারা।
দেখে নিন ,তালিকায় রয়েছে কোন কোন টুরিস্ট লজ…
১)উত্তরবঙ্গের কালিম্পংয়ের মর্গ্যান হাউস
২)জলপাইগুড়ির তিলাবাড়ি
৩ ) দীঘা টুরিস্ট লজ
৪)বকখালি ট্যুরিস্ট লজ
৫ )ডায়মন্ড হারবারের ট্যুরিস্ট লজ সাগরিকা
৬)বোলপুরের ‘রাঙাবিতান’
৭)ঝাড়গ্রাম ট্যুরিস্ট লজ
৮) বিষ্ণুপুর ট্যুরিস্ট লজ
কীভাবে বুকিং করবেন :
ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন বা পর্যটন দফতরের ওয়েবসাইট মারফত এই সব লজ বুকিং করা যাবে। এই কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে । তাতে ভাল সাড়া মিলছে বলেও দফতর সূত্রে খবর। অনেকে আবার অগ্রিম বুকিং সেরে ফেলেছেন। তবে পাহাড়ের চাহিদা বরাবরই বেশি । তাই সরকারি টুরিস্ট লজ গুলির মধ্যে দৌড়ে এগিয়ে কালিম্পংয়ের মরগ্যান হাউজ এবং জলপাইগুড়ির তিলাবাড়িতে। খুব একটা পিছিয়ে নেই দীঘা ও ঝাড়গ্রাম। তবে উইকএন্ডে চাহিদা রয়েছে বিষ্ণুপুরের। মহামারী পরিস্থিতিতে লজ গুলিতে কিছু নিয়মের বদল ঘটছে।
দেখে নিন সেই নিয়ম…
পরিস্থিতির কারণে এই সব ট্যুরিস্ট লজের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়মাবলি মেনে চলতে হবে। মূলত স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ প্রতি ঘরে স্যানিটাইজার প্যাক রাখা হচ্ছে। যার মধ্যে টুথপেষ্ট, টুথব্রাশ, চিরুনি, শ্যাম্পু, সাবান, তোয়ালে সহ নানা জিনিস দেওয়া হবে। লজের বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কর্মীরা বিছানা, বালিশ স্যানিটাইজ করবেন।
একবার পর্যটক ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেলে পুরো ঘর স্যানিটাইজ করা হবে। তাদের ব্যবহৃত যদি স্যানিটাইজার প্যাক পড়ে থাকে তাও ফেলে দেওয়া হবে দ্রুত। এছাড়া এখন থেকে এক সাথে বসে ডাইনিং রুমে বা হোটেলের রেস্টুরেন্টে তারা খাবার খেতে পারবেন না। প্রত্যেকের ঘরে ঘরে খাবার পাঠিয়ে দেওয়া হবে।