Friday, August 22, 2025

Special Report: বাংলায় বিজেপি ৫৬-এর বেশি নয়, রিপোর্টে উদ্বিগ্ন দিল্লি

Date:

Share post:

ঠিক এখন যা পরিস্থিতি, তাতে বিধানসভা ভোটে বাংলায় বিজেপি ৫৬টির বেশি আসন পাবে না। বড়জোর আরও ১৩টি আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের জায়গায় থাকবে।

একাধিক সূত্রে এই রিপোর্ট পেয়ে নড়ে বসেছে বিজেপির দিল্লির নেতৃত্ব। রিপোর্টে কংগ্রেস- বাম জোট প্রায় ৩৫ – ৩৮টি আসনের সম্ভাবনা আছে। সবচেয়ে বড় কথা প্রায় ১১০টি আসনে বিরোধী ভোট কাটাকাটিতে বড় অঙ্কের ব্যবধানে জিতবে তৃণমূল।

দিল্লির বিজেপি সূত্রে খবর, তাঁরা দলীয় সূত্রের পাশাপাশি একাধিক নেটওয়ার্কে খবর নিচ্ছেন। আইবি রিপোর্টও থাকছে। জুনের তৃতীয় সপ্তাহের খবর অনুযায়ী, বিজেপি বিকল্প সরকার গড়ার ধারেকাছেও নেই।

তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, বিজেপির দলের একাংশের পেশ করা পরিসংখ্যানেও এই বিষয়টি এসেছে। এমনকি মুকুল রায়ও দিল্লিকে জানিয়েছেন অবিলম্বে বড়সড় বদল না হলে তৃণমূলকে হারানো এই বিজেপির কম্ম নয়।

দিল্লির খবর, রিপোর্ট অনুযায়ী:
১) লোকসভায় মোদিকেন্দ্রিক হাওয়া ছিল। এবার সেটা প্রযোজ্য নয়।
২) মমতার বিকল্প মুখ বাংলায় এখনও নেই।
৩) লোকসভায় সাফল্যের পর বিজেপির ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ ধরে রাখা যায়নি।
৪) বিজেপি সংগঠনে আদি বনাম নব বিবাদ স্পষ্ট। সেই সঙ্গে ব্যক্তিনির্ভর গোষ্ঠী, উপদল, অযোগ্যের লবিবাজি প্রবল বেড়েছে। ফলে সাময়িক প্রচার হলেও তাতে ভোটে লাভ হওয়া কঠিন।
৫) এমনকী নতুন রাজ্য কমিটি গঠনের পরেও নতুন পদাধিকারীরা কাজের সুযোগ পাচ্ছেন না। আবার দক্ষিণ কলকাতার সভাপতির মত একাধিক জায়গায় চিহ্নিত অপদার্থকে এনে দলের সম্ভাবনার জায়গায় জল ঢালা হচ্ছে।
৬) নিজেদের পছন্দের লোককে বসিয়ে বা আরও কিছু কারণে পদ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ রাখাই বহু ক্ষেত্রে লক্ষ্য। ২০২১-এ না জিতলেও কোনো ক্ষতি নেই এদের।

এই ধরণের মারাত্মক সব বক্তব্যসহ রিপোর্ট জমা পড়েছে। তাতে একাধিক বিষয় রয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে অমিত শাহ সভাপতি চাড্ডাকে দেখতে বলেছেন। এখানে স্পষ্ট দুটি ভাগ রয়েছে। একদিকে দিলীপ ঘোষ, সুব্রত চট্টোপাধ্যায়, সায়ন্তন বসু, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পালেরা।
অন্যদিকে মুকুল রায়, শমীক ভট্টাচার্যদের শিবির।
এর মধ্যে লকেট চট্টোপাধ্যায়সহ কয়েকজন আছেন, যাঁরা মনে করছেন, বিজেপির সামনে যে সম্ভাবনাটা তৈরি হয়েছে, তা দলীয় কারণেই কাজে লাগানো যাচ্ছে না।

দিল্লিতে শিবপ্রকাশ চান দিলীপ-সুব্রত জুটির হাতেই ক্ষমতা থাকুক। কৈলাস চান, মুকুল রায়কে সামনে এনে কাজে লাগানো হোক।

কিন্তু এটা ঠিক যে দিল্লি এবার বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখতে শুরু করেছে। অমিত শাহ জুলাইয়ের শেষদিকে নাড্ডার সঙ্গে বসে পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে বিজেপির দিল্লি দপ্তর সূত্রে খবর। হয় রাজ্য বিজেপিকে কর্মপদ্ধতি বদলাতে বলা হবে। অথবা কমিটিতেই বদল আনা হতে পারে বলে সূত্রটি ইঙ্গিত দিয়েছে।
তবে অন্য সূত্র বলছে, দিলীপ ঘোষের উপর পূর্ণ আস্থা আছে দিল্লির। একটি অংশ তাতে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করলেও তা সফল হবে না।

spot_img

Related articles

রাজ্যে শুরু SIR প্রস্তুতি: একাধিক পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের

গোটা দেশেই এসআইআর লাগু হবে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার (Gyanesh Kumar)। বিহারে ৬৫ হাজার...

আস্থা কোথায়? প্রধানমন্ত্রীর সভার দিন বুঝিয়ে দিলেন দিলীপ, কটাক্ষ তৃণমূলের

দৃশ্য এক, বিজেপির নক্ষত্রখচিত মঞ্চ। মালা, উত্তরীয়তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) বরণ করছেন একের পর এক বঙ্গবিজেপির...

বাংলা বিদ্বেষীকে পাশে বসিয়ে বাঙালি প্রেম! মোদির দ্বিচারিতাকে ধুইয়ে দিল তৃণমূল

বাংলায় এলেই বাংলা ভাষায় বক্তৃতা। এ তো নরেন্দ্র মোদির রেওয়াজ হয়েছেই। সম্প্রতি তিনি উত্তর ভারতের গোবলয়ের দেব-দেবী ছেড়ে...

রায় বেরোনোর পরেই জয়েন্টের তালিকা প্রকাশ: বোর্ডের কৃতিত্বে আনন্দ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

কলকাতা হাই কোর্ট ওবিসি সংক্রান্ত যে জট দীর্ঘদিন ধরে পাকিয়ে রাখার চেষ্টা করে চলেছিল, শুক্রবার তা প্রতিহত হয়...