অসমে দেদার বিদ্যুৎ চুরি,৩০০ কোটি টাকার ক্ষতি বিদ্যুৎ দফতরের

বিশেষ প্রতিনিধি, গুয়াহাটি:

অসমে বিদ্যুৎ চুরি (power theft) এমন পর্যায়ে পৌঁছেছেন যে তা বন্ধ করতে নাজেহাল অবস্থা প্রশাসনের । রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বাস শৰ্মা (hemant biswas sharma) জানিয়েছেন, এর জেরে বিপুল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির (loss of revenue) সম্মুখীন হচ্ছে অসম সরকার (assam government)। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট চুরির পরিমাণ জানলে যে কারও চক্ষু চড়ক গাছ হয়ে যাবে।
জানা গিয়েছে, অসমে বিদ্যুৎ চুরি ও বিল না দেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ দফতরে ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে প্রত্যেক মাসে। এর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বলেছেন দ্রুত বকেয়া বিলের টাকা সংগ্রহ করতে হবে। বন্ধ করতে হবে বিদ্যুৎ চুরি।
অসমে তিনটি বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা রয়েছে। একটি অসম পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। অপর দুটি অসম পাওয়ার জেনারেশন কর্পোরেশন লিমিটেড ও অসম ইলেক্ট্রিসিটি গ্রিড কর্পোরেশন। এই তিন সংস্থার সঙ্গেই বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বাস শৰ্মা। তিনি ইলেকট্রিক চুরি ও বিল না দেওয়ার জেরে রাজ্যের বিদ্যুৎ দফতর যে বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে তার তথ্য তুলে ধরেন। সংস্থাগুলিকে বলেন তারা যেন এই আর্থিক ক্ষতির কারণ আরও খতিয়ে দেখেন।
কীভাবে ক্ষতি কমানো যায় তা নিয়ে আলোচনা করেন। পাশাপাশি মানুষের কাছে কীভাবে আরও ভালোভাবে বিদ্যুৎ পরিষেবা দেওয়া যায় তা নিয়েও আলোচনা করেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রীর নিদান দেন, বিদ্যুৎ বিল এবং বিলের টাকা জমা নেওয়ার জন্য গুজরাতকে অনুসরণ করা যেতে পারে । সে রাজ্যে যে পদ্ধতিতে বিদ্যুতের টাকা নেওয়া হয় সেই পথকে অনুসরণ করার নির্দেশ দেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের টাকা জমা নেওয়ার জন্য গুজরাত যে পদ্ধতি নিয়েছে সেটা অনুসরণ করুক বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলি ।

Previous articleব্রেকফাস্ট নিউজ
Next articleবিজেপি সরকারের দ্বিচারিতা, অভিনব প্রতিবাদে সামিল কেদারনাথ মন্দিরের পূজারীরা