প্রাক্তন সিবিআই প্রধান অলোক বর্মা, অনিল আম্বানি ও দলাই লামা। ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে তালিকা । পেগাসাস-কাণ্ডের নতুন তদন্ত রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে , কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ফোন যেমন হ্যাকিংয়ের জন্য নিশানা করা হয়েছিল, একই ভাবে আড়ি পাতার চেষ্টা হয়েছিল রিলায়্যান্স এডিএ গোষ্ঠীর কর্ণধার অনিল আম্বানির ফোনেও। রিলায়্যান্স গোষ্ঠীর অন্যতম কর্তা টোনি জেসুদাসন, রাফাল-নির্মাতা ফরাসি সংস্থা দাসোর ভারতীয় কর্তা বেঙ্কট রাও পোসিনা ও বোয়িংয়ের মতো আরও কয়েকটি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাতার প্রধানদের ফোনও ।
এখানেই শেষ নয়। তিন বছর আগে তৎকালীন সিবিআই ডিরেক্টর অলোক বর্মার ফোন পেগাসাস স্পাইওয়্যায়ের মাধ্যমে হ্যাক করার তালিকায় এসেছিল।

জানা গিয়েছে, তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামার ঘনিষ্ঠ বৃত্তের একাধিক ব্যক্তির ফোনও নিশানায় ছিল। এর মধ্যে সপ্তদশ কর্মপা ওগিয়েন ট্রিনলে দোর্জি, দিল্লিতে দলাই লামার দীর্ঘদিনের দূত টেমপা সেরিং, পরবর্তী দলাই লামা খোঁজার দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রাস্টের প্রধান সমধং রিনপোচে, তিব্বতি সরকারের প্রাক্তন প্রধান লোবসাং সাংগে-সহ দলাই লামার বেশ কয়েক জন
ঘনিষ্ঠ রয়েছেন।

এনএসও বহু দেশকে ফোন হ্যাক করার সরঞ্জাম বেচেছিল। সেই তথ্যভাণ্ডার থেকে সম্প্রতি ৫০ হাজার ফোন নম্বরের তালিকা ফাঁস হয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, ভারত-সহ বিভিন্ন দেশের সংবাদমাধ্যম তার তদন্তে নামায় দেখা গিয়েছে, ওই তালিকায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে বিরোধী দলনেতা, সাংবাদিক থেকে নির্বাচন কমিশনারের নাম রয়েছে।
পেগাসাস নিয়ে আজও সংসদ অচল ছিল। কংগ্রেস সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে। একই দাবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে এ দিন এক আইনজীবী মামলা দায়েরও করেছেন। কংগ্রেস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ইস্তফা দাবি করেছে।
