রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসায় খুন ও ধর্ষণের মামলাগুলির তদন্তের নির্দেশ সিবিআইকে (CBI) দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের (High Court) ডিভিশন বেঞ্চ। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার, আদালতের এই নির্দেশের পরেই তৎপরতা শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থায়। ওইদিন সন্ধেয় দিল্লি ও কলকাতার সিবিআই আধিকারিকরা উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেন। এমনকী, শুক্র বা শনিবারের মধ্যে তাঁরা তদন্তে রাজ্যে আসতে পারেন বলেও খবর। আর এখানেই প্রশ্ন উঠেছে, সিবিআইয়ের হাতে একাধিক মামলা ঝুলছে। অথচ রাজ্যের ভোট পরবর্তী অশান্তি মামলা নিয়ে এত তৎপরতা কেন!
হাইকোর্টের ১২৪ পাতার রায়ের প্রতিলিপি পেয়েই লিগাল টিমের সঙ্গে বৈঠক করেন সিবিআই-এর ডিরেক্টর। আদালতের নির্দেশ অনুসারেই তদন্তের গুরুত্ব অনুযায়ী, চারটি স্পেশাল টিম গঠন করা হয়েছে। প্রতিটিতে টিমে ৬-৭ জন করে অফিসার থাকবেন।
বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সিবিআইয়ের কমপক্ষ ২৫-৩০ জনের দল আসছেন। স্পেশাল ইউনিটের সমস্ত কাজ খতিয়ে দেখতে শীর্ষে থাকবেন একজন জয়েন্ট ডিরেক্টর পদ মর্যাদার অফিসার । চারটি টিমের জন্য চারজন জয়েন্ট ডিরেক্টর থাকছেন । জয়েন্ট ডিরেক্টর পদের পরেই একজন ডিআইজি, একজন সিনিয়র এস পি ও তিনজন এস পি থাকছেন।
তদন্তকারী অফিসাররা প্রতিটি টিমের হয়ে দ্রুত কথা বলবেন ‘আক্রান্তদের’ সঙ্গে। স্পেশাল টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন। এরপরেই প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে জয়েন্ট ডিরেক্টরের কাছে। সেই রিপোর্ট যাবে দিল্লিতে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে সিবিআইয়ের হাতের আগেও বহু মামলা গিয়েছে। রবীন্দ্রনাথের নোবেল চুরির মতো অনেক মামলারই মীমাংসা করতে পারেনি সিবিআই। কিন্তু এক্ষেত্রে এত তৎপরতা কেন? প্রশ্ন তুলছে রাজনৈতিক মহল। বৃহস্পতিবার, যখন কলকাতা হাইকোর্ট ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দেয়, ঠিক তার আগের দিন অর্থাৎ বুধবার মাদ্রাজ হাইকোর্ট একটি রায় সিবিআইকে খাঁচাবন্দি তোতা পাখি বলে ভর্ৎসনা করে। এবার এই মামলায় সিবিআইয়ের ভূমিকা কী হয় সেদিকে তাকিয়ে সব মহল।
