তৃতীয় ঢেউয়ে কোভীডের ছায়া ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে। ফলে প্রচারে বদল আমতে হয়েছে চার পুরনিগমের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের। নির্বাচনী প্রচারে বেরোতেই হচ্ছে। তবে কমিশনের নিয়ম মেনে বড় জমায়েত বা রোড শো করা যাচ্ছে না। বড় মিছিলও নয়। ভরসা ডোর টু ডোর। আর কিছু ক্ষেত্রে অনলাইন।

বিধাননগর, শিলিগুড়ি, আসানসোল ও চন্দননগর পুর নিগমের তৃণমূল প্রার্থীরা বেশি করে ডোর টু ডোর প্রচারে জোর দিয়েছেন। গুটি কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে কোভিড বিধি মেনে প্রচার সারছেন। ওয়ার্ডের ভোটারদের সঙ্গে কথা বলছেন নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে। সঙ্গে চলছে লিফলেট বিলি। সেখানে গত পাঁচ বছরের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরা হচ্ছে।

বিধাননগরের অনেক তৃণমূল প্রার্থী আবার জোর দিচ্ছেন অনলাইন প্রচারে। সোশ্যাল মিডিয়াতে। চার পুরনিগমের বিভিন্ন ওয়ার্ডে তৈরি হয়েছে একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। এমনকি এলাকা ধরে বয়স ভিত্তিক গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে কোথাও কোথাও। মহিলাদের ক্ষেত্রে আবার আলাদা গ্রুপ। এই সব গ্রুপগুলির মাধ্যমেও প্রচার চলছে জোর কদমে।

তবে সব ক্ষেত্রে এটা করা যাচ্ছে না। এই চার পুরনিগমেরই বেশ কিছু এলাকা এমন রয়েছে যেখানে প্রার্থীদের হাজির হতেই হচ্ছে সশরীরে। তবে অনলাইন প্রচারের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের হয়ে বড় ভূমিকা নিচ্ছেন যুবক-যুবতীরা। এখন প্রত্যেকের কাছেই স্মার্ট ফোন সঙ্গে থাকায় সুবিধেও হচ্ছে। তবে দেওয়াল লিখনের রেওয়াজ বজায় আছে যথারীতি। আছে ব্যানার ফেস্টুনও।

সদ্য কলকাতা পুর নিগমের ভোট মিটেছে। নতুন বোর্ড কাজও শুরু করে দিয়েছে জোর কদমে। কিন্তু কোভিডের এই কুম্ভীপাকে ২২ জানুয়ারি হতে চলা চার পুরনিগমের ভোটে প্রচারের দশদিক অধরাই থেকে যাচ্ছে। আসলে জান হ্যায়তো জাহান হ্যায়। বলছেন চার পুরনিগমের তৃণমূল কংগ্রেসের অনেক প্রার্থীই। তাঁদের কথায় মানুষের জন্য কাজ করব তাঁদের পাশে থাকার শপথ নিই ভোটে জিতে। তাই এমন কিছু করব না যাতে আমদের জন্য মানুষ বিপদে পরেন। জনতাই তো জনার্দন। তারা না থাকলে আমরা কোথায়।

আরও পড়ুন- Mamata Banerjee: জন্মদিনে গোটা দেশের শুভেচ্ছা বার্তায় আপ্লুত তৃণমূল সুপ্রিমো
