শকুনের রাজনীতি! কেন বললেন কুণাল?

জেহাদ নিয়ে শকুনের রাজনীতি বিজেপির, ইন্ধন জোগাচ্ছেন রাজ্যপাল। ফেসবুকে কী বললেন কুণাল ঘোষ?

জেহাদ।

হঠাৎ এই শব্দ নিয়ে বিতর্ক তুলছে বিজেপি। ইন্ধন দিচ্ছেন রাজ্যপাল।

বাংলা ভাষার চলতি কথায় অন্য বহু ভাষা থেকে কিছু শব্দ এসে গিয়েছে, ব্যবহৃত হয়। তাদের উৎসের ব্যাখ্যা এখানে অপ্রাসঙ্গিক।

জেহাদ শব্দটি অভিধান এবং মূল উৎসের ধর্মভাবনায় যেভাবেই থাকুক, এখন চলতি কথায় আমাদের ব্যবহারে সেটি প্রতিবাদ, বিপ্লব বা বিদ্রোহ। আমরা বাংলায় যখন ব্যবহার করি, তখন এর পিছনে কোনও ধর্মের ভাবনা কাজ করে না।

বহু ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমেও ব্যবহার হয়, অমুকের বিরুদ্ধে তমুক জেহাদ ঘোষণা করলেন।

এই শব্দটির উৎসে নির্দিষ্ট একটি ধর্মের কোনো চিন্তাভাবনা থাকলেও কালের নিয়মে বাংলা চলতি কথায় যখন এটি উচ্চারিত হয়, তখন ধর্মের ঊর্ধ্বে সাধারণ প্রতিবাদ বা কড়া বিদ্রোহ অর্থে ব্যবহৃত হয়। এটা যেকোনো সুস্থ সচেতন নাগরিক বোঝেন।

বিজেপি তাদের জনবিচ্ছিন্ন মরিয়া কুৎসিত কান্ডকারখানায় এই জেহাদ শব্দটি নিয়ে নোংরামি করছে। এসব অকারণ প্ররোচনা। ধর্মকে অপব্যবহার।

যেকোনো সাধারণ জিনিসকে বিকৃত করে এই আগুন নিয়ে খেলা আপত্তিকর।

ভাগাড় এবং নদর্মার পাঁক ঘেঁটে বেঁচে থাকাটা শকুন আর শুয়োরের কাজ। রাজনীতিতে এসব প্রবণতা না থাকাটাই বাঞ্ছনীয়।

উপনির্বাচনে আবার গোহারা বিজেপি। তৃণমূলের বিপুল জয়। কোথাও বাম, কংগ্রেসও জয়ী। বিজেপি তৃতীয়। এদের এই দলবদলু, ট্রেনি, অপদার্থ নেতারা যত প্রত্যাখ্যাত হচ্ছেন, তত বেশি ধর্মীয় আবেগে বিপজ্জনক সুড়সুড়ি হাতিয়ার করছেন। ওঁদের রাজভবনীয় অভিভাবক তাতে মদত দিচ্ছেন। বিজেপির মধ্যেও অনেকে এসব সমর্থন করছেন না।

রাজনীতিতে অন্য সব ইস্যু থাকুক। ধর্মকে রাজনীতিতে ব্যবহার এবং অপব্যবহার বাদ যাক। প্রতিটি ধর্মই সম্মানের। ধর্ম থাক দলাদলির রাজনীতির বাইরে। রাজনীতিতে লড়াই হোক উন্নয়ন, পরিষেবা, আর্থিক নীতিসহ মানুষের জীবন-জীবিকার সঙ্গে জড়িত ইস্যুগুলি নিয়ে।

 

 

Previous articleআন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
Next articleKl Rahul: সফল অস্ত্রোপচার, সোশ্যাল মিডিয়ায় জানালেন রাহুল