Sunday, November 9, 2025

কল্যাণী এইমস মামলার তদন্তে কেন্দ্রের অনুমতি চাই! সিআইডিকে জানালো হাইকোর্ট

Date:

Share post:

নিয়মের তোয়াক্কা না করে একের পর এক বিজেপি(BJP) নেতার আত্মীয়দের চাকরি দেওয়া হয়েছে কল্যাণী এইমসে(Kalyani AIIMS)। বড়সড় এই নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর তদন্ত শুরু করেছে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি(CID)। এই তদন্তের প্রেক্ষিতেই দায়ের এক জনস্বার্থ মামলায় সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের(Kolkata HighCourt) তরফে জানিয়ে দেওয়া হল কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীর বিরুদ্ধে তদন্ত করতে হলে কেন্দ্রের অনুমতি নিতে হবে। এবিষয়ে সিআইডিকে সতর্ক করে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, এমসের কর্মীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গেলে কেন্দ্রের অনুমতি প্রয়োজন। কেন না, যাঁর বিরুদ্ধে বেআইনি নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগ, তিনি এখন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী।

সোমবার হাইকোর্টে এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডিকে জানান, দুর্নীতি দমন আইনের ১৭ (এ), ১৯৮৮ মোতাবেক, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনও কর্মী বা আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্ত, অনুসন্ধান এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে কল্যাণী এমসের কর্মীদের বিরুদ্ধে তদন্তের ক্ষেত্রেও কেন্দ্রের অনুমতি নিতে হবে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডিকে। আদালতের এহেন নির্দেশের পর সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, আদালতের নির্দেশ নিয়ে আমি কিছু বলব না। তবে কল্যাণী এইমসের দুর্নীতি প্রকাশ্যে চলে এসেছে। বিজেপির পরিজনরা চাকরি পেয়েছেন। বিজেপি নেতাদের নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর তা সামাল দিতে মাঠে নেমেছে বিজেপির একটি পক্ষ।

উল্লেখ্য, এমসের নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিধায়ক এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের বিরুদ্ধেই। ‘বেআইনি ভাবে চাকরি বণ্টন’, বিশেষ করে ‘বিজেপি ঘনিষ্ঠদের চাকরি পাইয়ে দেওয়া’র অভিযোগও রয়েছে। যাঁদের বিরুদ্ধে এই সমস্ত অভিযোগ, তাঁরা হলেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা এবং বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। নিয়োগ সংক্রান্ত আরও একটি জনস্বার্থ মামলায় বলা হয়েছিল, কল্যাণী এমসে বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি-কন্যা মৈত্রী দানা চাকরি পেয়েছেন ‘নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ না নিয়েই’। ডেটা এন্ট্রি অপারেটর পদে মাসিক ৩০ হাজার টাকা বেতনের যে চাকরিটি মৈত্রীকে ‘পাইয়ে দেওয়া হয়েছে’, তাতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষেরও ‘হাত’ থাকতে পারে। এ ছাড়াও রাজ্যের কয়েক জন বিজেপি নেতার ঘনিষ্ঠকে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

spot_img

Related articles

এসআইআর আতঙ্কে মৃতদের পরিবারের পাশে তৃণমূল: রাজ্যজুড়ে শোকাহত পরিবারগুলির ঘরে দলের জনপ্রতিনিধিরা 

এসআইআর আতঙ্কে রাজ্যজুড়ে মৃত্যুর ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। কোথাও আত্মহত্যা, কোথাও আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু— ভয় ছড়িয়ে পড়েছে গ্রাম...

বাংলাভাষায় ১০ কোটিও খরচ নয়! বাঙালিবিদ্বেষী বিজেপির রবীন্দ্র-বঙ্কিম ভাগে তোপ গণমঞ্চের

বিজেপি আদতে বাঙালি বিদ্বেষী, তা সাম্প্রতিক সময়ে বারবার প্রত্যক্ষভাবে প্রমাণিত। সেই বিদ্বেষের বিরুদ্ধে বারবার সরব হয়েছে দেশ বাঁচাও...

১১ বলেই অর্ধশতরান! রঞ্জি ট্রফিতে বিশ্বরেকর্ড মেঘালয়ের ব্যাটারের

রঞ্জি ট্রফির( Ranji Trophy) ইতিহাসে বিশ্ব রেকর্ডে(World Record) তৈরি করলেন মেঘালয়ের ব্যাটসম্যান আশিষ কুমার চৌধুরী(Asis Kumar Chowdhury)। মোট...

পশ্চিমবঙ্গই সেরা পারফর্মার: এসআইআর-এ রাজ্যের সাফল্যে সন্তুষ্ট নির্বাচন কমিশন

রাজনৈতিক সংঘাত ও প্রশাসনিক টানাপোড়েনের মধ্যেও এসআইআর সংক্রান্ত সামগ্রিক কাজ এবং এনুমারেশন ফর্ম বিলির ক্ষেত্রে সবার আগে পশ্চিমবঙ্গ।...