সুপ্রিম কোর্ট(Supreme Court) বৃহস্পতিবার গুজরাট সরকারের(Gujarat government) কাছে সমাজকর্মী তিস্তা সেতালবাদের(Teesta Setalvad) বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন উত্থাপন করল। ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গা সংক্রান্ত মামলা দায়ের করার জন্য নথি জাল করার অভিযোগে ২৫ জুন থেকে হেফাজতে রয়েছেন তিস্তা। বৃহস্পতিবার তাঁর জামিনের আবেদন সংক্রান্ত শুনানির এক পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিতের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ইঙ্গিত দিয়েছিল তিস্তা সেতালবাদকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার বারবার অনুরোধে শুনানি আগামীকাল দুপুর ২টো পর্যন্ত মুলতবি রাখা হয়।

প্রধান বিচারপতি, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ, গুজরাট হাইকোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করার প্রত্যাখ্যানকে চ্যালেঞ্জ করে তিস্তার আবেদনের শুনানিতে জানান, “মামলার চার বা পাঁচটি বৈশিষ্ট্য আমাদের কাছে অত্যন্ত বিরক্তিকর।”
সুপ্রিম কোর্ট যে পাঁচটি নির্দিষ্ট পর্যবেক্ষণ উল্লেখ করেছে সেগুলি হল,
১. আবেদনকারীকে ২ মাসেরও বেশি সময় ধরে হেফাজতে রাখা হয়েছে। কোনো চার্জশিট দাখিল করা হয়নি।
২. সুপ্রিম কোর্ট জাকিয়া জাফরির মামলা খারিজ করার পরের দিনই এফআইআরটি নথিভুক্ত করা হয়েছিল এবং এফআইআরে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ ছাড়া আর কিছু বলা হয়নি।
৩. একজন মহিলার জামিনের মামলায় এটা কী ধরনের ‘জবাব তলব’? হাইকোর্টে জামিনের দাবিতে দায়ের হওয়া মামলায় জবাবদিহির জন্য ছয় সপ্তাহ সময় দেওয়া হচ্ছে!
৪. অভিযুক্তর অপরাধগুলি হত্যা বা শারীরিক আঘাতের মতো গুরুতর নয়, তবে আদালতে দায়ের করা নথি জাল করার অভিযোগের সাথে সম্পর্কিত।

৫. এক্ষেত্রে এমন কোন অপরাধ নেই যা জামিনে বাধা দেয়।
